
পদ্মা সেতু চালুর হওয়ায় দেশের যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি লাভবান হলো তা হচ্ছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় রবিবার সকালে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষের জেটির প্রধান ফটক থেকে বের হওয়া আনন্দ র্যালীটি বন্দর এলাকা প্রদক্ষিণ করে। আনন্দ র্যালীতে অংশ নেয়া মোংলা বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পদ্মা সেতু চালু হওযায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নানা শ্লোগান দেন। র্যালীটি বন্দরের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালী শেষে স্বাধীনতা চত্বরে অনুষ্ঠিত পথসভায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার বলেন, পদ্মা সেতু চালুর ফলে দেশের যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি লাভবান হলো তা হচ্ছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। সড়ক পথে ১৭০ কিলোমিটার দূরত্বের রাজধানী ঢাকার খুব কাছের এই বন্দরটি দেশের আমদানী-রপ্তানী বানিজ্যে এখন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। খুব দ্রুতই মোংলা বন্দরের আমদানী-রপ্তানী পণ্য, কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডেলিং অনেক গুনে বেড়ে যাবে।
আর এজন্য মোংলা বন্দরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আরো দায়িত্বশীল হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করবে। পাশাপাশি এই পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মোংলা বন্দরসহ ২১ জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে মোংলা বন্দরে বলে জানান বন্দরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
র্যালী শেষে পথসভায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন) মো. শাহিনুর আলমসহ বন্দর কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।