সোমবার-১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৪ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ক্লান্তি ভুলে ব্যস্ত রাউজানের কামার পাড়া

রাউজান প্রতিনিধি:

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে রাউজানে কামারপাড়ায় বেড়েছে ব্যস্ততা। এখন যে দম ফেলারও সময় নেই কামারশালা গুলোতে। দা,বঁটি, ছুরি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। আর মাত্র কয়েকদিন বাকি কোরবানির ঈদ। এই ঈদকে সামনে রেখে কামার শিল্পীরা দিনরাত সমান তালে লোহার টুং টাং শব্দে কাজ করে যাচ্ছেন। কামার শিল্পীদের এমন ব্যস্ততা জীবন চিত্র দেখা যায় উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাউজান উপজেলা সদর ফকির হাট, খাসখালী কুল, গহিরা কালচাঁন্দ চৌধুরী হাট, নোয়াজিষপুর নতুন হাট, হলদিয়া আমির হাট, ডাবুয়া জগন্নাথ হাট, রমজান আলী হাট, কাগতিয়া বাজার, নোয়াপাড়া পথের হাট, পাহাড়তলীসহ বিভিন্ন হাট বাজারে কামারখন্দেরা দা, বঁটি,ধামা, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি তৈরিতে ব্যস্ত। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে কামারপাড়া থেকে স্থানীয় লোকজন এসে দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন গরু মাংস কাটার জন্য। আবার অনেকে ঘরে থাকা পুরোনো দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি শান দিয়ে নিচ্ছেন কামারপাড়া থেকে।

 

কামারপাড়ার কয়েকজন কামারশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানায়, কোরবানির কাজে ব্যবহৃত ধারালো যন্ত্রপাতির মধ্যে দা আকৃতি লোহাভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, বঁটি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, ছুরি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন দা,বঁটি, ছুরি, চাপাতি শান দিতে বা লবণ-পানি দিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। রাউজান মুন্সিরঘাটা মাদ্রাসা গেটের সামনে শ্যামল কর্মকার বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে আগের মতো এখন ব্যবসা নেই, দোকানে বেচা-বিক্রি কম, নেই তেমন ক্রেতা। কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম কাচ্চি।তবে কোরবানির ঈদ আসলে দা,বঁটি,ছুরি, চাপাতিসহ লোহার তৈরী সরঞ্জামের চাহিদা বেড়ে যায়। বেচা- বিক্রিও ভালো হয়।

নোয়াজিষপুর নতুন হাট বাজারে কামার শিল্পী মোহাম্মদ কবির জানায়, সারা বছর কাজের চাপ না থাকলেও ঈদুল আযহা আসলে কাজের চাপ বেড়ে যায়। তবে এ বছর করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে ব্যবসা একটু কম হচ্ছে। দা,ছুরি কিনতে আসা এক ব্যক্তি জানায়, করোনার প্রভাবে দাম বেড়েছে দা-ছুরি,বঁটি,চাপাতির। কামার শিল্পীদের তৈরি এসব জিনিসপত্র কোরবানি ঈদে প্রয়োজন, তাই দাম একটু বেশি হলেও বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype