
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় সংস্কার ও সুদৃষ্টির অভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পানির নীচে তলিয়ে যায় একটি রাস্তা।
ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানাধীন ১নং রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিবিষ্টপুর (গুয়াপাড়া) গ্রামে বসবাস প্রায় কয়েকশত পরিবার। সেখান রয়েছে ফুলকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। বর্ষা এলেই বেড়ে যায় গুয়াপাড়া এলাকায় বসবাসরত মানুষদের ভোগান্তি। রুহিয়া চৌরাস্তায় ওঠার একমাত্র সড়কটিতে দীর্ঘদিনেও চোখ পড়েনি কর্তৃপক্ষের।এ কারণে দীর্ঘদিনের এই রাস্তাটি যেমন পাকাকরণ করা হয়নি, তেমনি রাস্তাটিতে মাটি ভরাটও করা হয়নি দীর্ঘদিনেও। এছাড়াও এখানে নতুন নতুন বাড়িঘর তৈরী হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা। এ কারণে বৃষ্টিপাত শুরু হলে দুই-একদিনের বৃষ্টিতে বাড়ির উঠান ও রাস্তাঘাটে পানি জমে যায়। পানি বন্দি হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় পাশেই মসজিদে যেতে মুসল্লীদের খুবই কষ্ট হয়। রাস্তায় পানি ওঠায় মোটরসাইকেল বা বাই সাইকেল নিয়ে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। কাঁদা পানিতে চলতে গিয়ে অনেকেই পা পিছলে পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাবার আগেই বাধ্য হয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে হয় । ওই গ্রামে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী বলেন, নির্বাচন এলে জনপ্রতিনিধিরা এখানকার সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচন শেষ হলেই সবাই ভুলে যান এখানকার মানুষের দুর্ভোগের কথা। স্কুল শিক্ষক রেজাউল ইসলাম জানান, আমরা রুহিয়া চৌরাস্তা হতে কাছাকাছি থাকলেও বর্ষাকালে চরম কষ্টে থাকি। কাদাপানির কারণে না পাড়ি বাজারে যেতে, না পারি মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে। আমাদের অবস্থা অনেকটা প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মতো।
বর্ষার মৌসুমে এ রাস্তাটির করুণ অবস্থা দেখার যেন কেউ নেই। ব্যবসায়ী মোবারক আলী জানান, একটু বৃষ্টি হলেই যানবাহন তো দুরের কথা মানুষের পায়ে হেঁটে চলতেও পোহাতে হয় নানান ভোগান্তি। তাই দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ১নং রুহিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু বলেন, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। আমার সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এখানে মাটি দিয়ে সংস্কার করা হয়। অতিরিক্ত জনবসতির কারণে বর্ষার সময়ে রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে যায়। তাই রাস্তাটি জরুরী ভিত্তিতে পাকা করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।