
অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এর মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম বাজেট ঘোষণা করলেন
সিটি করপোরেশনের (চসিক) ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য ২৪৬৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। রোববার দুপুরে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চসিক কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে তিনি এই বাজেট ঘোষণা করেন।
এর আগে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ১০০১ কোটি টাকার সংশোধনী বাজেট সভায় পাস হয়। ওই অর্থবছরের প্রকৃত বাজেট ছিল ২৪৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে চসিকের নিজস্ব উৎস থেকে সম্ভাব্য আয় দেখানো হয়েছে ৮৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে এই আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৩৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে সম্ভাব্য প্রাপ্তি দেখানো হয়েছে ১৫৭০ কোটি টাকা। এর বাইরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৩৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ত্রাণ সাহায্য হিসেবে ৪ কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে ধরা হয়েছে।
বাজেটে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে ক্ষতিগ্রস্ত খাল-নালা, ব্রিজ কালভার্ট ও রাস্তাঘাট মেরামতে কোনো অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি। গত অর্থবছরে এই খাতে চসিক ৫৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছিল।
আধুনিক নগরভবন নির্মাণের জন্য ১০ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে যদিও এই প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণের জন্য এখনো কোনো দরপত্র আহবান করা হয়নি।
চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়ন কাজের বিপরীতে এই অর্থ পাওয়া যাবে। বহদ্দারহাট থেকে বারইপাড়া নতুন খাল খননের জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়ার আশা করছেন মেয়র। গত অর্থবছরে এক কোটি টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত এক টাকাও বরাদ্দ মেলেনি এই প্রকল্পে।
বাজেটে ব্যয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় খাত হিসেবে দেখানো হয়েছে চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ। এই খাতে সম্ভাব্য ব্যয় ২৯৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এছাড়া চলতি অর্থবছরে ৮৩৪ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে বলে জানান মেয়র। চসিকের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিপরীতে ঠিকাদারদের প্রায় এক হাজার কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে।
বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম। বাজেট বিবরণী উপস্থাপন করেন অর্থ ও সংস্থাপন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল।
উল্লেখ্য যে গত ২৭ জানুয়ারি নির্বাচিত চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর এটাই প্রথম বাজেট ঘোষণা।