শুক্রবার-৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১১ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

বাড়ি ফেরার তাড়া ‘লকডাউনে’

বাড়ি ফেরার তাড়া ‘লকডাউনে’
বাড়ি ফেরার তাড়া ‘লকডাউনে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ২৮ জুন (সোমবার) থেকে শুরু হচ্ছে ‘কঠোর লকডাউন’। ‘লকডাউনে’ সবকিছু বন্ধের খবরে আগাম ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন অসংখ্য মানুষ। তাদের মতে, আয়-রোজগার সংকটের শঙ্কায় বাড়ি ফিরছেন তারা।

২৬ জুন (শনিবার) সকাল থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেন মানুষ। যানবাহন সেভাবে না চললেও সকাল থেকে বাস টার্মিনালে ছিল মানুষের ভিড়। অনেকে রওনা হয়েছেন হেঁটে।

এদিকে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প যানবাহনে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে বাড়তি টাকা যেমন খরচ করতে হচ্ছে,

তেমনি পদে পদে ভোগান্তিরও শেষ নেই। ভিড়-ব্যস্ত এসব ঘরমুখো মানুষের যাত্রায় উপেক্ষিতও করোনা ভাইরাসের স্বাস্থ্যবিধি।

রাজধানীর গাবতলী এলাকায় দেখা যায়, ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য যে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় তার মতোই অবস্থা চলছে। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে বলেই ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ।

তারা হন্যে হয়ে ভাড়ায়চালিত প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস খুঁজছেন। চালকরাও ভাড়া হাঁকছেন দ্বিগুণ-তিনগুণ। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া গুনেই ফিরছেন গ্রামে।

বাধ্য হয়ে বাড়ির পথে অন্তত যতদূর যাওয়া যায় সিএনজি, মোটরবাইকে যাত্রা করছেন অনেক মানুষ। যারা তাও জোটাতে পারছেন না তাদের অনেককেই হেঁটে রওনা দিতে দেখা গেছে। আবার কেউবা চিকিৎসা নিতে এসে ফিরে যেতে না পেরে পড়েছেন বিপাকে।

ঝুঁকিপূর্ণভাবে এমন যাত্রায় কোনোরকম স্বাস্থ্যবিধি মানার তোয়াক্কা নেই। বিশেষ করে বয়স্ক, নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন। তিন-চার গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন সবাই।

সুযোগ বুঝে চড়া দাম হাঁকছেন বিকল্প এসব বাহনের চালকরা, দৌরাত্ম বেড়েছে এক শ্রেণির দালালদেরও। আর চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও

প্রশাসনের চোখের সামনে চলছে এমন দৌরাত্ম। তবে মানুষের এমন বেপরোয়া চলাচলে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা যেন বেশি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype