সোমবার-১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৪ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালির সব অর্জন এসেছে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাঙালির সব অর্জন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছে’ উল্লেখ করে

আরো বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দু’টি নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা অর্জন।

২৩ জুন (বুধবার) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ‘আমাদের মুক্তি আমাদের স্বাধীনতা’ শীর্ষক

হাওয়াইয়ান গিটারে ৫০ জন শিল্পীর দেশাত্মকবোধক সঙ্গীতের সিডির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মন্ত্রী একথা বলেন।

বাংলাদেশ হাওয়াইয়ান গিটার শিল্পী পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ও গিটারচর্চার পথিকৃৎ মো. হাসানুর রহমান বাচ্চু ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কবি ও গবেষক আমিনুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

‘১৯৪৯ সালে ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পরই তখনকার ‘ড্রয়িংরুমভিত্তিক রাজনীতি’ জনগণের কাছে যায় এবং প্রথমে আওয়ামী মুসলিম লীগ হলেও

পরে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।

ইতিহাসের দিকে দৃকপাত করে তিনি বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করার আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো সংবিধান ছিল না।

নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান রচিত হয়।

১৯৫২ সালে আমাদের ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা হলেও প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাভাষা চালু হওয়া,

২১শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ সবই শুরু হয় ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করার পর।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করে স্বাধীনতার লক্ষ্যে বাঙালির মনন তৈরি করেছিলেন,

১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের হয়েই সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন এবং আওয়ামী লীগ ধস নামানো বিজয় অর্জন করেছিল।

তার প্রেক্ষিতেই অসহযোগ আন্দোলন এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতাসংগ্রাম, স্বাধীনতা ঘোষণা স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। সেকারণেই আজকে বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম জড়িয়ে আছে।

আমাদের এই বাঙালি সংস্কৃতিটা হারিয়ে যেতো। এটি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল বিধায়

আমাদের সংস্কৃতি আমাদের ভাষা আমরা রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি এবং শুধু তা নয়, আজকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি তোমাকে ভুলিতে পারি।

এই গান এখন সারা পৃথিবীতে বাজানো হয়, জাতিসংঘ দিবস হিসেবে। সারা পৃথিবীতে বাজানো হয় বিভিন্ন ভাষায়।

আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ খাদ্যঘাটতির দেশ আজ খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ,

মাথাপিছু আয়ে ভারতকেও ছাড়িয়ে, সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানবউন্নয়ন সব সূচকে পাকিস্তানকে অনেক আগেই অতিক্রম করা,

করোনার মধ্যেও আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বেই এ অর্জন সম্ভবপর হয়েছে, বলেন ড. হাছান।

হাওয়াইয়ান গিটার শিল্পী পরিষদের উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়ে ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে হাওয়াইয়ান গিটারে

দেশের গানের সিডির মোড়ক উন্মোচনকে তাৎপর্যপূর্ণ বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই বাঙালি সংস্কৃতিটা হারিয়ে যেতো।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল বিধায় আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ভাষা আমরা রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি

এবং শুধু তাই নয়, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে,

‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি তোমাকে ভুলিতে পারি’ এই গান এখন সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষায় বাজানো হয়।

বেতারের পাশাপাশি সকল টেলিভিশনেও হাওয়াইয়ান গিটারভিত্তিক অনুষ্ঠান প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে হাওয়াইয়ান গিটার শিল্পী পরিষদের ৫০জন সদস্যের বাজানো একটি দেশের গানে ভিডিও প্রদর্শিত হয়।

হাওয়াইয়ান গিটার শিল্পী পরিষদের সদস্য কবির আহমদ, মোঃ শফিউল্লাহ খোকন, মোঃ ফরহাদ আজিজ এবং আব্দুর রউফ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype