
অনলাইন ডেস্ক
দায়িত্বরত অবস্থায় এএসআই কাজী মো. সালহউদ্দিনকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা মামলার মূল আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ডিসি উত্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন উপ পুলিশ কমিশনার মো. মোখলেছুর রহমান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মাইক্রোবাস চালক মো. বেলাল (৩৪), মো. রাশেদ প্রকাশ রাসেল (২৬) ও সামশুল আলম (৬০)।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা রাঙামাটি থেকে মাদক এনে চট্টগ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি জায়গায় সরবরাহ করে। তারা দীর্ঘ একবছর ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাদের নামে বিভিন্ন জায়গায় মাদকের মামলা রয়েছে। ওইদিনও তারা মাদকদ্রব্য নিয়ে শহরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে।
এএসআই সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে চেকপোস্টে তাদের মাইক্রোটি থামানোর সংকেত দেয়। প্রথমে গাড়ির গতি কমানো হয়। পরে আবার গাড়ির গতি বাড়িয়ে সালাহউদ্দিনকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এসময় তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় মূল আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, গাড়িচাপা দিয়ে পুলিশ হত্যা মামলার মূল আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রটি রাঙামাটি থেকে মদ এনে চট্টগ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি জায়গায় সরবরাহ করে আসছিল। তাদের নামে এর আগেও বিভিন্ন থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, মাদক পরিবহনে ব্যবহার করা মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে। গাড়ি থেকে সাড়ে ৭শ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক পাচারের সময় সঙ্গে থাকা একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফ, পাঁচলাইশ জোনের এসি শহীদুল ইসলাম, চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) কাউছার হামিদ।
গত ১১ জুন শুক্রবার ভোরে নগরীর চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মো. মাসুম নামে পুলিশের এক কনস্টেবলও আহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, মাদকদ্রব্যবাহী একটি মাইক্রোবাসকে থামানোর সংকেত দিলে প্রথমে মাইক্রোবাসটি থামে। সে সময় এএসআই সালাউদ্দিন তল্লাশি চালাতে গেলে তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় মাইক্রোবাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই সালাউদ্দিনের মৃত্যু হয়।
পরে মাইক্রোবাসটি ধাওয়া করে পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করা হয়। নিহত এএসআই চান্দগাঁও থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি লক্ষ্মীপুর সদরের হাজীপাড়া থানার দক্ষিণ জয়পুর গ্রামের কাজী নাদের জামানের ছেলে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি চান্দগাঁও থানায় যোগদান করেছিলেন।