
নিজস্ব প্রতিবেদক : পটিয়া উপজেলাধীন তেকোটা বড়ুয়া পাড়া সংলগ্ন ঘোষের খালের ভাঙ্গন হতে মাস্টারদা সূর্যসেন সড়ক ও সেতু রক্ষার্থে প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়ন শেষে চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম জোনের প্রধান প্রকৌশলী অখিল কুমার বিশ্বাস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম পওর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর, চট্টগ্রাম পাউবো বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ শহীদ উদ্দিন,
পটিয়া পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ, পটিয়া পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী ধীমান কৃষ্ণ চৌধুরী ও লিটন চৌধুরী, পটিয়া পাউবো কার্যসহকারী মো. গিয়াস উদ্দিন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মের্সাস রোমানা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবদুল জলিল।
এসময় সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন তেকোটা সদ্ধর্ম বিকাশ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শরণসেন মহাথের, তেকোটা গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সরিৎ চৌধুরী সাজু’র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার মৃদুল কান্তি বড়ুয়া, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মৃণাল কান্তি বড়ুয়া,
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রণব বড়ুয়া পিপলু। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রামবাসীদের মধ্যে সুশান্ত চৌধুরী, রনজিৎ চৌধুরী, কিরণ বড়ুয়া, বিমল বড়ুয়া, সুবীর বড়ুয়া, আশুতোষ বড়ুয়া, নেপাল বড়ুয়া, পরিতোষ বড়ুয়া, জয়াশীষ বড়ুয়া,
ফটো সাংবাদিক প্রকাশ বড়ুয়া, শিক্ষক জুয়েল বড়ুয়া, নিউটন চৌধুরী, তেকোটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চন্দা বড়ুয়া, মলিকা বড়ুয়া, ছায়া বড়ুয়া প্রমুখ।
উদ্বোধনকালে প্রকৌশলী অখিল কুমার বিশ্বাস সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, পটিয়া উপজেলার জলাবদ্ধতার নিরসন, ভাঙ্গন রোধ ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১১৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পটিয়া সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেকে অনুমোদন দিয়েছেন।
এজন্য প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। উক্ত প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ,
২৬টি রেগুলেটার ও প্রায় ৪ কিলোমিটার ফ্লাট ওয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পটিয়া উপজেলার জলাবদ্ধতার নিরসন হবে এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে।
এতে করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাগব হবে। নদী ও খাল ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় যা যা করনীয়, পাউবো যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য যে, গত জুন, ২০১৯ সালের তেকোটা গ্রাম উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে অনুপুম বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সরিৎ চৌধুরী সাজুকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদের সাথে যোগোযোগ করে গ্রাম উন্নয়নে কাজ করার জন্য দায়িত্ব অর্পন করা হয়।
তখনকার সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১২ লক্ষ টাকার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। এছাড়াও তেকোটা শ্মশান সড়কের জন্য জেলা পরিষদ থেকে অচিরেই একটি এইচবিবি রাস্তা করা হবে। শ্মশানেও পানি উন্নয়ন বোর্ড এর মাধ্যমে ভাঙন রোধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা করা হবে।