
আন্তর্জাতিক বিনোদন ডেস্ক : গান মানুষের চিত্তকে আনন্দিত ও সুখি করে তুলে। তাই মানুষ সময় পেলেই গান শুনে মনের খোরাক মেটায়। এবার আলোচনা করবো বিশ্বের চারটি গানের শহরের কথা।
সঙ্গীতপ্রেমীরা সময় পেলেই গানের শহরগুলোতে ঘুরতে যান। ঘুরে বেড়ান, গান শোনেন আর মনের তৃপ্তি মেটান।বিশ্বের এই শহরগুলোকে ‘গানের শহর’ কেন বলা হয়, জানেন?
এই নামের পেছনেও যথার্থতা রয়েছে। এই শহরগুলোর সবস্থানেই গানের আসর নিয়ে বসেন সঙ্গীতশিল্পীরা। শহরের ছোট বড় পথে দেখা যায় তাদের সঙ্গীতায়োজন। যা চলার পথে মন ফুরফুরে করে দেয় সঙ্গীতপ্রেমীদের।
শহরের অডিটোরিয়াম, বার, ক্যাফে বা রুমে গান বাজে সব সময়। চলুন পরিচয় করিয়ে দেই, বিশ্বের এইসব ‘গানের শহর’এর সঙ্গে।
জার্মানির বার্লিন শহর : যারা নিয়মিত ভ্রমণ করেন তারা জানেন জার্মানির এই শহরটি কতটা সুন্দর। পর্যটকরা প্রতিবছর ভিড় করেন বার্লিন শহরে। আর পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এই শহরের পথে-প্রান্তে বসানো হয় গানের আয়োজন।
দিনে ও রাতের পুরো সময় জুড়েই থাকে এই আয়োজন। বিভিন্ন ধরণের ড্রাম থেকে অর্কেস্ট্রা, সবকিছু সবচেয়ে সূক্ষ্ম স্ট্রিট মিউজিকের ঠিকানা এই শহরটি।
ডেভিড বাউই, ইগ্গি পপ প্রভৃতি বিখ্যাত আর্টিস্টেট গান শুনতে এখানে আসেন অনেকে। এখানকার ক্লাবগুলোতে বিশ্বের সেরা কিছু জ্যাজ গানও শোনা যায়।
ইউনাটেড কিংডমের শহর লন্ডন : লন্ডনের নাম শুনলেই বিশ্ব বিখ্যাত গায়ক দুয়া লিপা, লেড, জ্যাপলিন, অ্যামি ওয়াইনহাউয়ের কথা মনে পড়ে যায়। লন্ডন শহরের প্রতিটি ছোট বড় পথের প্রতিটি কোণ সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত।
সুরের তালে তালি মিলিয়ে রাতভর মিউজিক উপভোগ করেন ভিনদেশীরা। প্রতিটি রাস্তায় দেখা যায় কেউ না কেউ র্যাপ করছেন।
পাবগুলোতেও চলছে পপ- জ্যাজ। ২৪ ঘণ্টাই থাকে জ্যাজ মিউজিকের এই আয়োজন। লন্ডন শহরের স্ট্রিট মিউজিকের দৃশ্য ফুটে উঠেছে বিভিন্ন সিনেমায়ও।
কিউবার হাভানা শহর : বিশ্বের সবচেয়ে সাংস্কৃতিক শহর হলো কিউবা। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম ও সবচেয়ে পশ্চিমে অবস্থিত দ্বীপ এটি।
এর রাজধানী হচ্ছে হাভানা। যে শহরের রাস্তা হোক কিংবা রেস্টুরেন্ট সব স্থানেই থাকে গানের আয়োজন। ২৪ ঘণ্টাই গানের আয়োজনে মুগ্ধ হোন দর্শনার্থীরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহর ন্যাশভিল : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ন্যাশভিল। বিশ্বের সেরা মিউজিক্যাল শহরের মধ্যে এটিও একটি।
বিশেষ করে কানট্রি মিউজিকের জন্য এই শহর বিশ্বজোরা খ্যাত। গ্র্যান্ড ওল্ড অপেরাতে আয়োজন হয় বিশ্বের পুরোনো সব মিউজিকের। দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হতে যোগ দেন এই আসরে।