শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভারতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে

অনলাইন ডেস্ক
ভারতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। কয়েকটি নতুন প্রজাতির ক্রমাগত রূপ বদলের ফলে সংক্রমণ ক্ষমতাও বেড়েছে করোনাভাইরাসের। ভবিষ্যতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনার আরও সংক্রামক রূপের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন গবেষকদের একাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রথম ভারতে করোনাভাইরাসের বি.১.৬১৭ প্রজাতিটির (যা ‘করোনার ভারতীয় রূপ’ বলে পরিচিতি পেয়েছে) সন্ধান মেলে। পরে তা দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। দ্বিতীয় দফার জিনগত চরিত্র বদলের কারণে বি.১.৬১৭ ভাইরাসটিকে ‘দ্বি-পরিব্যক্ত’ (ডাবল মিউট্যান্ট) হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যার সংক্রমণ ক্ষমতা অন্য প্রজাতিগুলির তুলনায় বেশি।

তবে ভারতে সবচেয়ে বেশি ছড়ালেও করোনাভাইরাসের বি.১.৬১৭ প্রজাতিটিকে ‘ভারতীয়’ হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। ভাইরাসটির জিনগত বৈচিত্র পর্যালোচনা করে এমনই রায় দিয়েছেন গবেষকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছেন, এ ক্ষেত্রে ‘উৎপত্তিস্থল’ হিসেবে ব্রিটেনকে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
একটি প্রতিবদনে বলা হয়েছে, পরবর্তী সময়ে ৩ দফায় জিনের গঠন বদলানো (ট্রিপল মিউট্যান্ট) করোনাভাইরাস বি.১.৬১৮-র সন্ধান মিলেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ কয়েকটি রাজ্যে। যদিও দিল্লির ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’র ডিরেক্টর সুরজিৎ সিংহের মতে বি.১.৬১৭-এর ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার তুলনায় বেশি। অর্থাৎ রূপ বদলালেই করোনাভাইরাস বেশি সংক্রমক হবে, এমনটা নাও হতে পারে।

গত বছরের শুরুতে নভেল করোনাভাইরাসের যে রূপ ভারতে সংক্রমিত হতে শুরু করেছিল, তা এখন অনেক বদলে গেছে বলে মনে করছেন গবেষকেরা। জিনের গঠন বিন্যাসের বদলের ফলে তৈরি হয়েছে ডি-৬১৪জি-এর মতো প্রায় ১০ গুণ বেশি সংক্রামক রূপ। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় এই প্রজাতির করোনাভাইরাসের সন্ধান মিলেছে।

২০২০ সালের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রথম পরিব্যক্ত প্রজাতি বি.১-এর খোঁজ মিলেছিল। এরপর দফায় দফায় এর চরিত্র বদলেছে। ভারতের সোনিপতের অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস বিজ্ঞানী শাহিদ জামিলের মতে, অদূর ভবিষ্যতে জিনের পরিব্যক্তির মাধ্যমে আরও সংক্রামক হয়ে উঠতে পারে করোনাভাইরাসের ‘ভারতীয়’ রূপগুলি। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রবীন্দ্র গুপ্তও এই মতে সায় দিয়েছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনাভাইরাসের পরিব্যক্ত রূপ বি.১.৩৫১-এর ক্ষেত্রেও আরএনএ স্পাইক প্রোটিনের বিন্যাস বদলের ফলে বেশি সংক্রামক হয়ে উঠতে পারে বলে নানা গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বি.১.৬১৭.২ প্রজাতি সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে প্রভাব ফেলছে। শিশুরাও তাতে আক্রান্ত হচ্ছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype