সোমবার-১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৪ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ভারত ফেরত ২৫ জন কোভিড রোগীর জিনোম সিকোয়েন্সিং করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

 

আন্তজাতিক ডেস্ক
শিশু হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকার জানিয়েছেন শিশু হাসপাতালে ১০০ জনের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন হলেও ভারতীয় ভ্যারিয়েণ্ট পাওয়া যায়নি কারো থেকে।

ভারত থেকে করোনা পজেটিভ হয়ে আসা বাংলাদেশী করোনা রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর)। সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগে। তারপর জানা যাবে, এদের মধ্যে ভারতীয় কোন ভ্যারিয়্যান্ট রয়েছে কি না।

শনিবার আইইডিসিআরের একজন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট রয়েছে কি না জানতে যে নমুনার সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে, তার সংখ্যা ২৫ জনেরও বেশি হবে। তবে এখনই নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না, সংখ্যাটি কত হবে। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আইইর ছাড়াও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), শিশু হাসপাতাল ও সায়েন্স ল্যাবরেটরিতেও এই সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে।

তবে ওই তিন প্রতিষ্ঠানে মোট কতজনের নমুনার সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে, তা আমার জানা নেই। আইইডিসিআরই বেশি সংখ্যক সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভারত থেকে যতজন করোনা পজিটিভ রোগী এসেছে, তাদের মধ্যে ছয়জনের দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট শনাক্ত হয়েছে।

এ ছাড়া আরও বেশ কিছু ভারত ফেরত করোনা রোগীর সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে। এই সিকোয়েন্সিং-এর জন্য অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। সিকোয়েন্সিং-এর ফল পেতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগে।

উল্লেখ্য ৮ মে দেশে প্রথম ছয়জনের দেহে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরণ শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। ওই ছয়জনের মধ্যে চারজন দেশের বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দা, আর ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন দুজন।

ঢাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট শনাক্ত ওই দুজনের একজন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং আরেকজন এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি চারজন যশোরসহ অন্যান্য স্থানে চিকিৎসাধীন। ৬ জনের কেউই তেমন জটিল অবস্থায় নেই বলে জানিয়েছেন ডা. আলমগীর।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলে ভারত ফেরত বেশ কয়েকজন করোনার নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন। যদিও তারা ভারত থেকে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে এসেছিলেন। এখানেও তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। পরে তাঁরা বাসায় চলে যান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype