
অনলাইন ডেস্ক
নটিংহ্যামশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে শুক্রবার অবসরের ঘোষণা দেন ৩৪ বছর বয়সী এই পেসার।
সবশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন গার্নি। চোটের কারণে এরপর থেকেই মাঠের বাইরে তিনি। বিবৃতিতে বললেন, আর পেরে উঠছেন না।
“ আমার সময় হয়েছে থেমে যাওয়ার। সবশেষ কাঁধের চোট থেকে সেরে ওঠার চেষ্টা করার পর আমি খুবই হতাশ যে এটির কারণে আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেল।”
“ ১০ বছর বয়সে যখন প্রথমবার ক্রিকেট বল হাতে নিয়েছি, তখন থেকেই সম্পূর্ণ বুঁদ ছিলাম এই খেলায়। ২৪ বছর ধরে ক্রিকেটই ছিল আমার জীবন এবং অবিশ্বাস্য এক ভ্রমণে আমাকে নিয়ে গেছে তা, আমি যা হৃদয়ে লালন করব আজীবন।”
গার্নির মূল শক্তি ছিল সুইং, সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ। প্রথাগত ইংলিশ সিমারদের মতোই। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার খুব উল্লেখযোগ্য কিছু নয় তার। ইংল্যান্ডের হয়ে ১০ ওয়ানডে ও ২ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন, উইকেট মোট ১৪টি। সব ম্যাচই ২০১৪ সালে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লর্ডসে ৫৫ রানে ৪ উইকেট তার সেরা বোলিং।
তবে গার্নি ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিতি পান ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো খেলে। বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন রেনেগেডস ও সিপিএলে বারবাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন আইপিএলে, কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে পিএসএলে।
গার্নির বিদায়ী বিবৃতিতে উঠে এলো এসব কথাই।
“ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারা, আইপিএলে খেলে, টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট, বিগ ব্যাশ ও সিপিএল মিলিয়ে দেশে ও বিদেশে আটটি ট্রফি জিততে পারা, এসব আমার সুদূরতম স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে গেছে।”
গার্নি এখন মন দেবেন ব্যবসায়। নটিংহ্যামশায়ার সতীর্থ ও ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের সঙ্গে মিলে একটি পাব কোম্পানি চালাতেন তিনি। তবে কোভিডে মহামারীর প্রভাবে সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন করে চালুও করবেন না তারা। গার্নি এখন ক্যারিয়ার গড়বেন ‘হসপিটালিটি’ ব্যবসায়।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার উইকেটে ৩১০টি, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১১৪টি, টি-টোয়েন্টিতে ১৯০টি।