শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

চীনের ল্যাব থেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়ানো হয়েছে করোনা, দাবি চীনা বিশেষজ্ঞের

অনলাইন ডেস্ক

চীনের এক ভাইরাস বিশেষজ্ঞই অভিযোগ করলেন, করোনাভাইরাসকে ইচ্ছাকৃতভাবেই পরিবেশে ছড়িয়েছিল বেইজিং।
মহামারী শুরুর ঠিক পরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিবৃতি চীনকে বাঁচিয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, চীনের কোনও গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে পড়েনি করোনাভাইরাস।

এক সাক্ষাৎকারে চীনের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লে মেং-ইয়ানের অভিযোগ, বাদুর, প্যাঙ্গোলিন বা পরিবেশ থেকে অন্য কোনওভাবে ছড়িয়ে পড়েনি সার্স-কোভ ২ ভাইরাস। তা ছড়িয়ে পড়েছিল চীনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-এর গবেষণাগার থেকেই। আর জীবাণুযুদ্ধের মহড়া হিসেবে তা ইচ্ছাকৃতভাবেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল পরিবেশে।

এ ব্যাপারে প্রমাণিত তথ্যাদি আমেরিকার বিদেশ দফতরের হাতে রয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল মহামারী শুরুর পরপরই। তাতে বলা হয়েছিল, চীনা সেনাবাহিনীর বিজ্ঞানীরা জীবাণুযুদ্ধের মহড়া হিসেবে করোনাভাইরাসকে ব্যবহার করার পরীক্ষা-নিরীক্ষা গবেষণাগারে শুরু করেন ২০১৫ থেকে। বেইজিং ওই অভিযোগ অস্বীকার করতে দেরি করেনি। এমনকি চীন পরিদর্শন শেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দলও ঘোষণা করেছিল যে, সার্স-কোভ ২ ভাইরাস উহানের বাজার থেকেই বাতাসে ছড়িয়েছিল এবং এটি কোনও গবেষণাগার থেকে বেরিয়ে আসেনি। এমনকি আর তা ইচ্ছাকৃতভাবেও ছড়ানো হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সেই বিবৃতিতে চীনের আপাত স্বস্তি মিলেছিল।
কিন্তু সেই সন্দেহটাকেই ফের উস্কে দিলেন চীনের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লে-মেং-ইয়ান। তিনি বলেছেন, “আমেরিকার বিদেশ দফতরের হাতে আসা ওই তথ্যাদি একেবারেই সঠিক। গোটা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অপ্রচলিত জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের কর্মসূচি বেইজিংয়ের অনেক দিনের পুরনো। কীভাবে সেই জীবাণু অস্ত্র ধাপে ধাপে বানানো যায় আর তা ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে চীন দীর্ঘ দিন ধরে কী কী পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছে, গত মার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে আমিও সবিস্তারে তার উল্লেখ করেছি। করোনাভাইরাস গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছে এটা রটে গেলে, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে কী কী পদক্ষেপ জরুরি বেইজিং তা-ও অনেক আগেই ভেবে রেখেছিল।”

কিসের ভিত্তিতে তার এই অভিযোগ, জানতে চাওয়া হলে ইয়ান বলেন, “আমি গত জানুয়ারি থেকেই তথ্যপ্রমাণ-সহ এসব কথা ইউটিউবে বলে চলেছি। এও বলেছি, এই ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য প্রচুর পরিমাণে অর্থবরাদ্দ করেছিল বেইজিং। আর ইচ্ছাকৃতভাবেই তা বাতাসে ছড়ানো হয়েছিল, যাতে মানুষের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেওয়া যায়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype