
চট্টগ্রামে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ১ ‘শ ৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
নতুন শনাক্ত ১ ‘শ ৮ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮৬ জন ও সাত উপজেলার ২২ জন। এর মধ্যে হাটহাজারীতে ৬ জন, ফটিকছড়িতে ৫ জন, রাউজানে ৪ জন, বাঁশখালীতে ৩ জন, সীতাকুণ্ডে ২ জন এবং লোহাগাড়া ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫০ হাজার ৮ ‘শ ৮৩ জন, যাতে শহরের বাসিন্দা ৪০ হাজার ৭ ‘ম ৫৫ জন ও গ্রামের ১০ হাজার ১ ‘শ ২৮ জন।
বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত ৩ রোগী মারা গেছে। তিনজনই শহরের বাসিন্দা। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৫ ‘শ ৫২ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৪ ‘শ ৯ জন ও গ্রামের ১ ‘শ ৪৩ জন।
সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছে নতুন ৯৯ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৯ ‘শ ৬৬ জনে উন্নীত হয়েছে।
এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৫ হাজার ১ ‘শ ৯৬ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে চিকৎসায় সুস্থ হন ৩১ হাজার ৭ ‘শ ৭০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ৪৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১ হাজার ৫ ‘শ ১৭ জন।
উল্লেখ্য, গতকালের ৩ জনসহ চলতি মে মাসের প্রথম ছয়দিনে ২৮ করোনা রোগীর মৃত্যু হলো। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হার কিছুটা কমেছে। সংক্রমণ হার গত ৩৯ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন।
গত ৩০ মার্চ সংক্রমণ হার এর চেয়ে কম ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ পাওয়া যায়। সেদিন ২ হাজার ৯ ‘শ ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ ‘শ ৯০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩ ‘শ ৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২ জনসহ ১৭ জন করোনার জীবাণুবাহক পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ ‘শ ৫০ টি নমুনায় শহরের ২২ ও গ্রামের ১২ টি পজিটিভ শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১ ‘শ ২৮ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ৩ জনসহ ১৩ জনের দেহে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৮ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৩৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের একটিসহ ১২ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২ ‘শ ৭২ টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের একটিসহ ১০ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭১ টিতে গ্রামের একটিসহ ৮ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৩ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১০ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে।
চট্টগ্রামের ২১ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় দু’টি ছাড়া বাকীগুলোর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
তবে, কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নগরীতে নতুন যুক্ত মেডিকেল সেন্টারে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, সিভাসু’তে ১০ দশমিক ১৫, চবি’তে ২২ দশমিক ৬৬,
চমেকে ৭ দশমিক ১৪, আরটিআরএলে ৩৪ দশমিক ২৮, শেভরনে ৩ দশশিক ৬৭, ইম্পেরিয়ালে ১১ দশমিক ২৭, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৩ দশমিক ৪৮ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।