রবিবার-১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৩ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে জয়া আহসানের

জয়া আহসান । ফাইল ছবি।

ভারতে করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত। প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুতে। দেশটিতে রোজ মৃত্যু তিন হাজারেরও বেশি। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আক্রান্ত হচ্ছেন অনেক তারকাও৷

প্রিয় সহকর্মীদের জন্য দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে জয়া আহসানের৷ এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমনটাই জানিয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।

তিনি লিখেছেন, ‘মনটাকে জাগিয়ে রাখা কী যে কঠিন মনে হচ্ছে আজকাল। এত ক্ষয়, এত মৃত্যু, এত হাহাকার! চারদিকে যেন শুধু একটাই চিহ্ন- বিয়োগের। আমাদের কত না আপনজন উষ্ণ হাতের মুঠো ছেড়ে বিদায় নিচ্ছেন।
যারা আমাদের আনন্দের সময়ের বন্ধু, বেদনার সময়ের আশ্রয়, বিপদের সময়ের ভরসা, তারা চলে যাচ্ছেন একে একে। চলে গেলেন সৌমিত্র কাকুর মতো মেঘ-সমান উঁচু একজন মানুষ,

চলে গেলেন আরও কত কত কবি, লেখক, শিল্পী। ঢাকায়, কলকাতায় একই অন্ধকার ছবি। সমস্ত ভারতেই করোনার ভয়ংকর থাবায় মানুষ বড় নিঃসহায়।

মন খারাপ করা নিউজ ফিডের সোশ্যাল মিডিয়া যেন মৃত্যুর প্রান্তর। খবরের কাগজ হাতে নেওয়ার আগেই বুক ধক করে ওঠে, আজ জানি আবার কে! কলকাতায় আমার বন্ধু সহকর্মীদের কথা ভাবি। কতদিন দেখা হয়নি।

অসম্ভব কষ্টের একটা সময় পার করছে তারা। একটা করে মন্দ খবর শুনি, আর আমার মনটা নিভে আসে একটু একটু করে।

যাদের সঙ্গে এতদিন ধরে কাজ করছি কলকাতায় পরিচালক, শিল্পী, কুশলী, সহযোগী শুনি তাদের কষ্ট, অসুস্থতা আর বিদায়ের খবর। আমার আলো কমে যায়।আমার কেবলই মঙ্গল কামনা।

আলো ফিরে আসুক সবার জীবনে। হতাশার এই অন্ধকারে মন যেন পথ না হারায়। তোমার মুক্তি আর আমার মুক্তি আলোয় আলোয়, এই আঁধারে। বন্ধুরা, মন শক্ত করে বাঁধো।

সময় আসছে। আবার আমরা একসঙ্গে, হাতে হাত ধরে, প্রান্তরের শেষ রেখার দিকে ছুটব। ওই রেখাটা পার হতে এখনো যে বাকি।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype