সোমবার-২রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ-১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ-১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শপিংমলে এত ক্রেতা!

সরকার ঈদের কেনাকাটা ও ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে বিধিনিষেধের মধ্যে মার্কেট ও বিপণি বিতান খুলে দিয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজনের জন্য পছন্দের জামা-কাপড় কিনতে প্রখর রোদ ও করোনা ভীতিকে উপেক্ষা করে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে রাজধানীর মার্কেটগুলোতে।

মার্কেট থেকে শুরু করে ফুটপাত পর্যন্ত সর্বত্রই চলছে কেনাকাটার ধুম। মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গাও নেই। শুধু মার্কেটই নয়, ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজ সবকিছুই মানুষে টইটম্বুর। প্রচন্ড ভিড় এবং ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেশি থাকায় মূল সড়কে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।

১ মে (শনিবার) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার, নূর ম্যানশন, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, নুরজাহান মার্কেট, গাউছিয়া সুপার মার্কেট, চাঁদনী চক শপিং কমপ্লেক্স ও

আশপাশের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, পুরো এলাকাজুড়েই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। বিপুল আগ্রহ নিয়ে ক্রেতারা তাদের পছন্দের পোশাক, জুতা-স্যান্ডেল, কসমেটিকসসহ গৃহস্থালির বিভিন্ন সামগ্রী কিনছেন।

কেনাকাটা করতে আসা এসব ক্রেতাদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি হলেও ছোট্ট শিশু-কিশোরদের ও দেখা গেছে বাবা-মায়ের সঙ্গে। এ অবস্থায় দম ফেলার ফুরসতও পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। অবশ্য ক্রেতাদের এমন উপচেপড়া ভিড়ে বেশ খুশি বিক্রেতারা।

ব্যস্ততার মাঝেও তারা জানালেন, মেয়েদের সালোয়ার-কামিজ, থ্রি-পিস, হাফসিল্ক শাড়ি, কাতান শাড়ি, মসলিন শাড়ি, স্কার্ফ, হিজাব, জুয়েলারি, ব্যাগ, জুতা, কসমেটিকস এবং ছেলেদের পাঞ্জাবি-পায়জামা, ফতুয়া, শার্ট-প্যান্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে।

ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের শাড়ি-কাপড় ব্যবসায়ী রফিক বলেন, দীর্ঘদিন ব্যবসার মন্দা থাকার পর ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। আশা করছি, আগের পুরনো অবস্থা কেটে যাবে এবং

এবারের ঈদে রেকর্ডসংখ্যক বিক্রি হবে। গতবার রোজার ঈদের আগে দোকান খুলে দিলেও এত বিক্রি হয়নি। কিন্তু এবার ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ ভালো। আশা করছি, ঈদের আগে বিক্রি আরও জমজমাট হবে।

প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারের এম জে ফ্যাশনের বিক্রয়কর্মী শিহাব উদ্দিন বলেন, গতকাল থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। এই কয়েকদিন শুধুমাত্র শাড়ি এবং নারীদের আইটেম বিক্রি হলেও এখন পাঞ্জাবি-পায়জামার চাহিদাও বেড়েছে। দীর্ঘদিন পর এত বেশি ক্রেতার দেখা পাচ্ছি।

তবে গণপরিবহন বন্ধ না থাকলে আরও বেশি সংখ্যক ক্রেতার দেখা মিলত বলে মনে করছেন গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী হোসেন মিয়া। তিনি বলেন, সবকিছুই তো চলছে। তবে শুধুমাত্র গণপরিবহন বন্ধ। কেন বন্ধ রাখা হলো?

স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন খুলে দেওয়া হোক। অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে আসতে পারছেন না। যারা আসছেন তাদেরও বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে এবং সড়কে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই অচিরেই গণপরিবহন চালু করে দেওয়া দরকার।

কিন্তু মার্কেট, ফুটপাত ও দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই দেখা যায়নি। ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয় পক্ষকেই দেখা গেল স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা মাস্ক না পরেই বেচাকেনা করতে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।

তা না হলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে না। জোর করে মানুষকে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করানো যাবে না। সবাইকে নিজের জায়গা থেকে দায়িত্বশীল হতে হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype