সোমবার-১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৪ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

মহাকাশ স্টেশনের মূল অংশ উৎক্ষেপণ চীন

চীন গত বৃহস্পতিবার উৎক্ষেপণ করেছে মহাকাশস্টেশনের মূল অংশ বা মডিউল ।থিয়েন হ্য হলো এই স্থায়ী তিয়ানগং মহাকাশস্টেশনের মূল অংশ।মহাকাশে এখন একটিমাত্র স্পেসস্টেশন আছে, যেটি আন্তর্জাতিক মহাকাশস্টেশন।
দেশটির ক্রমেই উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়ে ওঠা মহাকাশ কর্মসূচিতে এটি সর্বসাম্প্রতিক পদক্ষেপ। থিয়েন হ্য নামের এই মডিউলে আছে নভোচারীদের থাকার জন্য ঘর। চীনের ওয়েনচাং মহাকাশ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে লং মার্চ ফাইভবি নামের রকেটের মাধ্যমে এই মহাকাশস্টেশনটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। বেইজিংয়ের আশা, তাদের নতুন মহাকাশকেন্দ্রটি ২০২২ সালের মধ্যেই কাজ করতে শুরু করবে।

মহাকাশে এখন একটিমাত্র স্পেসস্টেশন আছে, যেটি আন্তর্জাতিক মহাকাশস্টেশন। এটি চীনকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে চীন তার কার্যক্রম শুরু করেছে বেশ দেরিতে। ২০০৩ সালে চীন প্রথম তার নভোচারীকে কক্ষপথে পাঠায়। চীন তখন ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর মহাকাশ অভিযানের দৌড়ে তৃতীয় দেশ।

এর আগে মহাকাশের কক্ষপথে দুটি স্পেসস্টেশন পাঠিয়েছে চীন। তিয়ানগং-১ ও তিয়ানগং-২ এই দুটিই ছিল পরীক্ষামূলক মহাকাশস্টেশন। এগুলো ছিল খুবই সাদামাটা ধরনের মডিউল, যেখানে নভোচারীদের তুলনামূলকভাবে অল্প সময় থাকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।

বর্তমানের নতুন তিয়ানগং স্টেশনটির ওজন ৬৬ টন এবং এর অনেক মডিউল রয়েছে। এই স্টেশন কাজ করতে পারবে অন্তত ১০ বছর। থিয়েন হ্য হলো এই স্থায়ী তিয়ানগং মহাকাশস্টেশনের মূল অংশ। এটির দৈর্ঘ্য ১৬.৬ মিটার এবং প্রস্থ ৪.২ মিটার। এই মডিউল মহাকাশস্টেশনে শক্তি সরবরাহ করবে এবং স্পেসস্টেশনটিকে কক্ষপথে ঘোরাবে। নভোচারীদের থাকার ব্যবস্থা এবং জীবনরক্ষার প্রযুক্তিও থাকবে এই মডিউলে। চীনের অন্তত আরো ১০টি একই ধরনের উৎক্ষপণের পরিকল্পনা রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে কক্ষপথে অতিরিক্ত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম পাঠানো হবে। তাদের পরিকল্পনা হলো, আগামী বছরের মধ্যে এই স্টেশন চালু করার কাজ সম্পন্ন করার।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype