শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

তিন বাংলাদেশি এশিয়ার একশ শীর্ষ বিজ্ঞানীর তালিকায়

তিন বাংলাদেশি হলেন ড. সালমা সুলতানা, ড. ফেরদৌসী কাদরী এবং অধ্যাপক সামিয়া সাবরিনা। ফাইল ছবি।

এশিয়ান সায়েন্টিস্ট প্রতিবছর বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন এমন ১০০ জনকে বাছাই করে প্রকাশিত হয় তালিকা। এ বছর তালিকাটিতে স্থান লাভ করেছেন বাংলাদেশের তিন নারী গবেষক।

এশিয়া মহাদেশের ‌সেরা ও মেধাবী বিজ্ঞানীর বিরল এই সম্মানের অধিকারী তিন বাংলাদেশি হলেন ড. সালমা সুলতানা, ড. ফেরদৌসী কাদরী এবং অধ্যাপক সামিয়া সাবরিনা।

গত ২৬ এপ্রিল সিঙ্গাপুরভিত্তিক ইংরেজি ভাষার ম্যাগাজিন এশিয়ান সায়েন্টিস্ট ষষ্ঠবারের মতো তালিকাটি প্রকাশ করে।
তালিকাভুক্তির মৌলিক শর্তের বিষয়ে ম্যাগাজিনটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‌‘স্থান প্রাপ্তদের অবশ্যই তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আগের বছর জাতীয়/ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পুরস্কার পেতে হয়।’

এর বিকল্প হিসেবে, কোনো গবেষক যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিল্প সংস্থায় যুক্ত থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য কোনো বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করেন তাহলে তাকেও এই তালিকায় স্থান দিয়ে সম্মান জানানো হয়।

ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইট অনুসারে, সালমা সুলতানা হলেন মডেল লাইভস্টক অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা। ২০২০ সালে তিনি মাঠ পর্যায়ের গবেষণা ও পদ্ধতিগত প্রয়োগ আবিষ্কারের স্বীকৃতি স্বরূপ ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশনের নরম্যান ই বোরলাগ পুরস্কার লাভ করেন।

সালমা বাংলাদেশের ক্ষুদ্র খামারিদের সঙ্গে গবাদিপশু পালন, পশু চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া এবং খামারিদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার চেষ্টা চালান। তাকে দেওয়া পুরস্কারটি ছিল এসব কাজেরই স্বীকৃতি।

অন্যদিকে, ফেরদৌসী কাদরী হলেন আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্রে (আইসিডিডিআর,বি) কর্মরত একজন এমিরেটস বিজ্ঞানী।

রোগ সংক্রমণের প্রথম দিকেই পরীক্ষার পদ্ধতি, বৈশ্বিক টিকাদানসহ উন্নয়নশীল দেশে শিশুদের মধ্যে সংক্রামক ব্যাধি বিস্তার নিয়ে করা তার গবেষণার জন্য ২০২০ সালে তিনি ল’রিয়েল-ইউনেস্কো ফর উইমেন ইন সায়েন্স পুরস্কার লাভ করেন।

সামিয়া সাবরিনা বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক।

উন্নয়নশীল দেশের জন্য তড়িৎ বিজ্ঞানে ন্যানোমেটারিয়াল নামে পরিচিত সূক্ষ্ম বস্তুকণার প্রয়োগ ও উপযোগ নিয়ে করা গবেষণার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০২০ সালে তিনি ওডব্লিউএসডি- এলসিভার ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর আর্লি ক্যারিয়ার উইমেন সায়েন্টিস্ট পুরস্কার পান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype