

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৩ ’শ ৫ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯ শ ৫৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬ শ ২৮ জনে।
২৮ এপ্রিল (বুধবার) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩ শ ৯২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৭২ হাজার ৩ শ ১৯ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ শ ৫৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১ শ ২৩টি, জিন এক্সপার্ট ৩৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ২ শ ১টি।
এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৮ হাজার ৪ শ ২৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ২ শ ৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ২৩ হাজার ৬ শ ১৪টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ০৯ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন। খুলনা বিভাগে ৭ জন। রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে ৫ জন করে ১০ জন।
সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন করে ৪ জন। এছাড়া রংপুর বিভাগে ১ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৭ জন, বাড়িতে ১ জন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫ শ ৭৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭ শ ৫২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২১ হাজার ৮ শ ৫২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৮ শ ৭০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ৩৫৪ জন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬ শ ২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২ শ ১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।