সোমবার-২রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ-১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ-১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

৫ জেলার ৩৪ আসনে পশ্চিমবঙ্গে ভোট চলছে

৫ জেলার ৩৪ আসনে পশ্চিমবঙ্গে ভোট চলছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত ৬০ এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৬ হাজারের কাছাকাছি। তারইমধ্যে রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে সপ্তম দফার ভোট।

বাকি থাকবে আরও এক দফা। ২৬ এপ্রিল (সোমবার) ভোট চলছে রাজ্যের ৫ জেলার ৩৪টি আসনে। তারমধ্যে রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৬টি, পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৯টি, মালদহের ৬টি আসন, মুর্শিদাবাদ জেলার ৯টি এবং কলকাতা জেলার ৪টি আসনে।

শহরে এ দিন ভোট চলছে কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ কেন্দ্রে। তবে এই দফায় ভোট হচ্ছে না মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর আসনে।

কারণ সেখানের দুই প্রার্থীর করোনা হয়ে মৃত্যু হয়েছে। ওই দুই আসনে মে মাসে ভোট হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এ দফায় একদিকে যেমন রয়েছেন বিনোদন জগতের প্রার্থীরা তেমনই রয়েছেন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। সপ্তম দফায় মমতার মন্ত্রিসভার কয়েকজনের এ দিন ভাগ্য পরীক্ষা হচ্ছে। তারমধ্যে অন্যতম রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা করপোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

কলকাতা বন্দর কেন্দ্র থেকে তৃণমুলের প্রার্থী তিনি। ২০১১ এবং ২০১৬ সালে এই কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতেছেন তিনি। যাকে রাজ্যবাসী ববি হাকিম নামেও চেনেন। আছেন গ্রামন্নোয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী তিনি। এছাড়া মমতার গড় ভবানীপুর কেন্দ্রে এবারে তৃণমুলের প্রার্থী বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্র ছেড়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও সেখানের ভোট শেষ হয়ে গেছে। অপরদিকে ভবানীপুর কেন্দ্রে বিজেপির বাজি অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

এছাড়া আসানসোল-দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের প্রতিপক্ষ বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তথা ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি এই অঞ্চলের ভুমিপুত্রীও।

এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে দু’দুবার ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়ো। তবে তিনি করোনা শনাক্ত হওয়ার কারণে এবার ভোট দিতে পারছেন না।

এই দফাতেও নিরাপত্তায় এতটুকু ফাঁক রাখতে রাজী নয় নির্বাচন কমিশন। ৩৪টি ভোট কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৭৯৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

মূল প্রতিপক্ষ তৃণমুল, বিজেপি। এছাড়া সংযুক্ত মোর্চাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল মিলিয়ে ২৮৪ জন প্রার্থীর এ দফায় ভাগ্যনির্ধারণ হচ্ছে।

তবে রাজ্য যেভাবে করোনা কবলে চলে গেছে সেখানে নির্বাচন কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভোট হিংসাকে রুখে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ছটা অব্দি ভোট পরিচালনা করা।

ফলে আগের দফাগুলোর মতই করোনাবিধি মেনে ভোটারদের বুথে যাওয়ার অনুমতি মিলছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে ভোটার দাঁড়ানোর জন্য একহাত অন্তর দাগ কেটে লাইন বানানো হয়েছে।

ভোটারের মুখে মাস্ক ও হাতে ওয়ানটাইম গ্লাভস বাধ্যতামুলক। তাপমাত্রা মেপেই বুথের ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। সম্পূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া চলছে ইভিএমের মাধ্যমে। ভোট চলছে ১২ হাজার ৬৮টি বুথে।

গত বিধানসভা নির্বাচনে নিরিখে এই চার জেলার ৩৬টি আসনে তৃণমূল পেয়েছিল ১৪টি বাকি ২২টি আসনে জয় পেয়েছিল বাম-কংগ্রেস জোট। সেবার বিজেপি খাতাই খুলতে পারেনি।

তবে রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের রাজনৈতিক ধারার অনেকটাই পরিবর্তন করেছে বিজেপি। ফলে এখন দেখার এবারের নির্বাচনে রাজ্যবাসী কাদের বেছে নেয়-তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি নাকি সংযুক্ত মোর্চা? তা জানা যাবে ২ মে ভোট গণনার দিন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype