দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রামের টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়ছে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান লকডাউনেও। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে ১৮ এপ্রিল (রবিবার) ভিড় সামলাতে রীতিমতো পুলিশ ডাকা হয়েছিল।
চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এসএমএস যারা পেয়েছেন তারাও আসছেন আবার যাদের এসএমএস আসেনি তারাও কৌতূহলবশত ভিড় করছেন।
সব মিলে লাইন ছাড়া দাঁড়ানোর চেষ্টা, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ইত্যাদির কারণে মারমুখী হয়ে উঠলে আমরা পুলিশ ডেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখি।
তিনি জানান, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা মজুদ রয়েছে। উদ্বেগ বা আতঙ্কের কিছু নেই। যারা এসএমএস পেয়েছেন তাদের টিকা দিচ্ছি আমরা।
আমাদের কেন্দ্রে নিবন্ধন করে প্রথম ডোজ গ্রহণের দুই মাস যাদের পেরিয়ে গেছে তাদেরও টিকা দিচ্ছি। এক্ষেত্রে এসএমএস না এলে প্রথম ডোজ গ্রহণের কাগজটির ফটোকপি নিয়ে আসতে হবে। ১৮ এপ্রিল (রবিবার) প্রায় ১ হাজার ৮ শ জনকে টিকা দিয়েছি আমরা।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় গত ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামে এসেছে ৩ লাখ ৬ হাজার ডোজের ৩০ হাজার ৬০০ ভায়াল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। প্রতি ভায়াল ভ্যাকসিন ১০জনকে প্রয়োগ করা হবে।
এসব ভ্যাকসিন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে ওয়াক-ইন-কুলারে (ডব্লিউআইসি) ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়।