
চট্টগ্রামে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে জনসমাগম বেড়েছে। গণপরিবহন না থাকলেও নগরে চলাচল করেছে পণ্যবাহী গাড়ি ও রিকশা। তবে লকডাউনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মহানগরির ২ নং গেইট, ষোলশহর, মুরাদপুর, অক্সিজেন এলাকায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে রিক্সা ও পণ্যবাহী গাড়ির পাশাপাশি বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়িও।
জনসাধারণ লকডাউন মানছেননা। মোড়ে মোড়ে দেখা যায় মানুষের জটলা। ওষুধ, কাঁচা বাজার ও নিত্যপণ্যের দোকান খোলা থাকায় অন্যান্য দিনের মতো মানুষ বেরিয়েছে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে।
সীমিত পরিসরে পোশাক কারখানা খোলা থাকায় বাসা থেকে বের হতে হয়েছে শ্রমিকদের। প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা থাকলেও অনেকে রিকশায় ছুটেছেন কর্মস্থলে।
মহিম নামের এক ব্যক্তি বলেন, গত সপ্তাহের লকডাউনের চেয়ে এবারের লকডাউনে মানুষের চলাচল কম। তবে যতটা কঠোর হবে বলে মনে হয়েছে ততটা কঠোর হয়নি লকডাউন।
মুভমেন্ট পাস আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। তাহলে এই মুভমেন্ট পাস কে দেখবে? তাছাড়া মুভমেন্ট পাস পেতেও যে লম্বা প্রসেস। ততক্ষণে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে আবার বাসায় ফিরে যাওয়া যাবে।
তবে ডাক্তার, নার্স, মেডিক্যাল স্টাফ, কোভিড টিকা ও চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, ব্যাংকার, ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ, সাংবাদিক, গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান, টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী, বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী,
জরুরি সেবায় জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী, অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা, শিল্প কারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ফায়ার সার্ভিস,
ডাকসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা, বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র থাকলেই চলবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।