

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে কৃষি কাজ ব্যাহত হওয়ায় চালের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে বাজারে চালের দাম বেড়েছে।
১৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বর্তমানে ৫৫ টাকার নিচে মোটা চাল ও ৬৫ থেকে ৭০ টাকার নিচে চিকন চাল নেই। ইত্যোমধ্যে ৮ থেকে ১০ লাখ টন চাল আমদানিরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তারপরও কেন চালের এ দাম এবং মূল্যস্ফীতিতে কী প্রভাব পড়ে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ধান, চাল ও গম প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। আমরা দাবি করি খাদ্যশস্যে স্বাবলম্বী। খাদ্যশস্যে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারি সেই বছর যে বছর আমাদের প্রকৃতি স্বাভাবিক থাকে।
যদি প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ আসে সেটা আমরা মেইনটেইন করতে পারি না। আমাদের এখানে যে পরিমাণ জমি, দক্ষতা ও সক্ষমতা আছে তা যথাযথ কাজে লাগাতে পারলে আমরা সফল সেই বছর।
কিন্তু আমরা দেখেছি গত বছরও আমাদের অনেক বোরো নষ্ট হয়েছে। তখন যে সমস্ত কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য একটি প্যাকেজ নেওয়া হচ্ছে। এখন সেভাবেই কাজটি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও কৃষিতে সফল হতে পারেনি। এছাড়া আমাদের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ আছে থাইল্যান্ডসহ সবাই কৃষিতে ঘাটতিতে রয়েছে। করোনা ভাইরাস শুধু আমাদের দেশে নয় সারা বিশ্বকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
বরং আমাদের থেকে অন্যান্য দেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে কৃষকরা কৃষি কাজ করতে পারেনি। স্বভাবতই যখন স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হয় তখন কৃষি কাজ ব্যাহত হয়েছে। আর কৃষি ব্যাহত হওয়ার কারণেই সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণেই চালের দাম বেশি।
গণমাধ্যম নেতাদের বিভিন্ন পরামর্শের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, শাইখ সিরাজ খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষিতে ভর্তুকি বাড়ানো, পোল্ট্রি শিল্পের দিকে নজর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কৃষিখাতে আমাদের শিক্ষিত তরুণরা এগিয়ে আছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শহর কেন্দ্রিক বিল্ডিংয়ের ছাদে কৃষি কাজ হচ্ছে। সে রকম আমাদের দেশেও করা যায় কীনা তার পরামর্শ দিয়েছেন।