শুক্রবার-৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১১ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

ঘরের মাঠে হারল পিএসজি। কিন্তু এ হারও যে জয়ের সমান। প্যারিসে মঙ্গলবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগে ১-০ গোলে হেরেও অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠেছে পিএসজি।

ঘরের মাঠের হতাশা ভুলতে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হতো বায়ার্নকে। ম্যাচের শুরুর দিকের চিত্র অবশ্য ভিন্ন কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল।

মুহুর্মুহু আক্রমণে তাদের ব্যতিব্যস্ত করে তোলে এমবাপে-নেইমার জুটি। কিন্তু বাধ সাধে দুর্ভাগ্য, সঙ্গে তাদের দুর্বল ফিনিশিং। গোলপোস্‌ট মানুয়েল নয়ারের ছিলেন দুর্দান্ত।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের গতি কমে যায়, পিএসজিও পারেনি শুরুর ছন্দ ধরে রাখতে। তবে বিরতির আগে এরিক-মাক্সিম চুপো মোটিংয়ের গোলে যে আত্মবিশ্বাস পায় বায়ার্ন, তাতে শেষ পর্যন্ত চাপ ধরে রাখে তারা। কিন্তু দ্বিতীয় সাফল্যের দেখা আর মেলেনি।

প্রথম লেগের নায়ক কিলিয়ান এমবাপের নৈপুণ্যে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগটি পায় পিএসজি। ডান দিক দিয়ে ফরাসি ফরোয়ার্ডের ডি-বক্সে ঢুকে নেওয়া শট দূরের পোস্টের পাশ দিয়ে বাইরে যায়।

ছয় মিনিট পর তার গোলমুখে বাড়ানো পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে হতাশায় মুখ ঘুরিয়ে ফেলেন নেইমার। ওখানেই ভুলটা করেন তিনি। বল ক্লিয়ার করতে পারেনি ডিফেন্ডাররাও।

মুহূর্ত বাদে ফাঁকায় বল দেখে ব্রাজিলিয়ান তারকা শট নেন ঠিকই, কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।

২৭তম মিনিটে আবারও হতাশ করেন নেইমার। ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে ডান দিকে ফাঁকায় বল বাড়ান এমবাপে।

সামনে একমাত্র বাধা গোলরক্ষক, কিন্তু মোক্ষম সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার। সঠিক সময়ে এগিয়ে তার শট ঠেকিয়ে দেন মানুয়েল নয়ার।

পরের ১০ মিনিটে আরও তিনটি সুযোগ পান নেইমার। কিন্তু ব্যর্থতা যেন আষ্ট্রেপৃষ্টে জড়িয়ে ছিল তাকে। ৩৪তম মিনিটে ডিফেন্ডার লুকা এরনদেঁজকে কাটিয়ে তার নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান নয়ার।

আর ৩৭তম মিনিটে ক্রসবারে ও দুই মিনিট পর পোস্টে লেগে ব্যর্থ হয় তার আরও দুটি চেষ্টা।

প্রতিপক্ষের ব্যর্থতার মিছিলের মাঝে ৪০তম মিনিটে বল জাল পাঠান চুপো মোটিং। দাভিদ আলাবার শট কেইলর নাভাস ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বল তার হাতে লেগে উপরে উঠে যায়।

গোলমুখে ছুটে গিয়ে হেডে গোলটি করেন ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড।

৪৪তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেতে পারত বায়ার্ন। তবে অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার আলাবার জোরালো শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান নাভাস।

বিরতির পরও ব্যর্থতা পিছু ছাড়েনি নেইমারের। ৫৩তম মিনিটে গোললাইনের সামনে বল পেয়েও স্লাইডে পা লাগাতে পারেননি নেইমার। ৭৮তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে এমবাপে জালে বল পাঠালেও বাজে অফসাইডের বাঁশি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype