

এবারের ছায়ানটের বর্ষবরণ ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ ১৪ এপ্রিল (বুধবার) সকালে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল এবং বিটিভিতে এই আয়োজনটি সম্প্রচার করা হয় করোনার প্রকোপ ও লকডাউনের কারণে।
ইউসুফ আলী খান আয়োজনের শুরুতেই রাগালাপে সরোদবাদন করে। এরপর ‘পূর্বগগনভাগে দীপ্ত হইল সুপ্রভাত’ সম্মেলকভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করে ছায়ানটের বড়দের দল।
‘অন্ধকারের উৎস হতে’ একক রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন আব্দুল ওয়াদুদ।
‘আমি ভয় করব না’, রীবন্দ্রনাথের এই গানটি এককভাবে গেয়ে শোনান সেঁজুতি বড়ুয়া। ‘এলো এলো রে বৈশাখী ঝড়’ সম্মেলক নজরুল গীতি উপস্থাপন করে ছায়ানটের ছোটদের দল।
কাজী নজরুলের ‘গগনে প্রলয় মেঘের মেলা’ একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন খায়রুল আনাম শাকিল।
এছাড়া আয়োজনে ফারহানা আক্তার শ্যার্লি, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, নাসিমা শাহীন ফ্যান্সি, রেজাউল করিম এবং আবুল কালাম আজাদসহ ছায়ানটের শিল্পীরা বিভিন্ন পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।
সবশেষে কথন পর্বে অংশ নেন ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন।
তিনি বলেন, এ বছর আমরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতার অর্ধশতবর্ষ পূর্ণ করছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে, নববর্ষের প্রথম প্রভাতে আপনারা ছায়ানটের প্রীতি ও ভালোবাসা গ্রহণ করুন।
১৯৬৭ সাল থেকে নগরজীবনে নববর্ষকে আবাহন জানানোর জন্য ছায়ানট রমনার বটমূলে যে সুর ও বাণীর আয়োজন করে আসছে তাতে প্রথম ছেদ পড়ে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে, আর গত বছর মহামারির কারণে।
সংক্রমণের প্রকোপে এবছরেও তা আয়োজিত হচ্ছে অনলাইনে, অর্থাৎ সীমিত পরিসরে। উৎসবের আমেজ নেই; স্বজন হারানোর বেদনা আর সংক্রমণের শঙ্কা আজ সর্বজনের অন্তরে।
তবে, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জীবনে নিছক নববর্ষ উদযাপন নয়। আত্মপরিচয়ের সন্ধানে বাঙালি যে পথপরিক্রমায় অংশ নিয়েছে, সে পথ মসৃণ ছিল না।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল, নববর্ষের আয়োজন সর্বধর্মের বাঙালিকে ঐক্যসূত্রে যুক্ত করে, তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সবশেষে ছায়ানট শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শেষ করা হয় অনুষ্ঠান।