
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ আচমকাই আগ্নেয়গিরির কবলে পড়েছে। দ্বীপপুঞ্জের লা সুফ্রিয়ের আগ্নেয়গিরি থেকে হঠাৎ অগ্নুৎপাত শুরু হয়।
৯ এপ্রিল (শুক্রবার) শুরু হওয়া ওই আগ্নেয়গিরির তাণ্ডবে ঘরছাড়া হন পার্শ্ববর্তী এলাকার বহু মানুষ।
এদিন ভোরের দিকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের পূর্বাঞ্চলের সেন্ট ভিনসেন্ট আগ্নেয় দ্বীপের লা সুফ্রিয়ের পর্বত থেকে অগ্নুৎপাত হয়।
দশকের পর দশক ধরে এই আগ্নেয় পর্বতটি নিষ্ক্রিয় ছিল। হঠাৎ করেই এদিন সক্রিয় হয়ে ওঠে সেটি।
অগ্নুৎপাতে পর্বতের মুখ থেকে বের হতে থাকে গাঢ় কালো ধোঁয়া। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগ্নেয়গিরির ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা আকাশ। ঢেকে যায় সূর্য, অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে যায় এলাকা।
অগ্নুৎপাতের ছাই উড়ে এসে ঢেকে দিয়েছে গোটা ভিনসেন্ট শহর। বাড়িঘর, রাস্তা সবকিছুতেই পুরু ছাইয়ের স্তর জমেছে।
১৯৭৯ সাল থেকে লা সুফ্রিয়ের আগ্নেয়গিরিতে কোনোরকম অগ্নুৎপাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ফুঁসে উঠতে থাকে এটি।
এরপর চলতি সপ্তাহে আগ্নেয়গিরির ইঙ্গিতে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে ভিনসেন্ট সরকার। আর দেরি না করে বৃহস্পতিবারই এলাকা খালি করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী রালফ গনস্যালভেস।
শুক্রবার সকালেই শুরু হয় লা সুফ্রিয়েরের উদগিরণ। ধোঁয়ার দাপটে ভাল করে সূর্যকেও দেখা যাচ্ছিল না। সারাদিন মেঘলা অন্ধকার হয়েই ছিল সেন্ট ভিনসেন্ট দ্বীপ।
এছাড়া, পর্বতের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল ছাই। সারাদিন ধরেই ছোটো বড় আগ্নেয় বিস্ফোরণ ঘটতে দেখা গেছে দ্বীপে।
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিসমিক রিসার্চ সেন্টারের ডিরেক্টর ই জোসেফ জানিয়েছেন, এই ধরণের অগ্নুৎপাত খুব তাড়াতাড়ি থেমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
গোটা সপ্তাহ, এমনকি মাসখানেক ধরেও চলতে পারে এই ছোটো বড় বিস্ফোরণ। তার ভাষ্যমতে, “এটা সবে শুরু।”
প্রসঙ্গত, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের সেন্ট ভিনসেন্ট দ্বীপের জনসংখ্যা লাখখানেক। এর আগে ১৯৭৯ সালের আগ্নেয়গিরিতে দ্বীপটিতে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষয়ক্ষতিসহ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ যায়।