শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাইবান্ধার চারটি উপজেলার

ডেস্ক রিপোর্ট

গতকাল রোববার কালবৈশাখী ঝড়ে গাইবান্ধার চারটি উপজেলার ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বৈদ্যুতিক লাইন লন্ডভন্ড হয়ে যায়।কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ ও ডালের নিচে চাপা পড়ে আহত এক নারীসহ আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে  মৃতের সংখ্যা শিশুসহ ১০। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) পাঠানো মৃত্যুর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

আজ সোমবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা নিজ উদ্যোগে ভেঙে যাওয়া ঘরবাড়ি মেরামত কাজ শুরু করেছেন। যেসব গাছ ভেঙে রাস্তায় পড়েছিল, সেগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় রোববার বেলা তিনটা থেকে জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১১টার দিকে জেলা শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। কিন্তু আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত গাইবান্ধা শহরের মহিলা এতিমখানা এলাকায় বিদ্যুৎ আসেনি। পাশাপাশি জেলা শহরের আশপাশের এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ–সংযোগ চালু হয়নি। ফলে ফ্রিজের সংরক্ষিত জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে হচ্ছে।

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে গাছ ভেঙে ও চাপা পড়ে এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পাশাপাশি নিহত প্রতিটি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়ছে।

এ বিষয়ে আজ সকালে গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-১–এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, রোববার রাতে শহর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সচল করার জন্য মেরামতের কাজ চলছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype