শনিবার-২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ-৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ-৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

এক মাসের জন্য কড়া লকডাউনের ঘোষণা করলেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট

ডেক্স রিপোর্ট

করোনাভাইরাস সংক্রমণের বেড়ে চলা হার নিয়ন্ত্রণে আনতে ফ্রান্স কমপক্ষে এক মাসের জন্য কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশবাসীর উদ্দেশে টেলিভিশন ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বর্তমান করোনা পরিস্থিতির উল্লেখ করে একাধিক কড়াকড়ির ঘোষণা করলেন। দেশের কিছু অংশে বিচ্ছিন্নভাবে যেসব কড়া বিধি-নিয়ম চালু ছিল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা দেশের জন্য সেগুলো প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।

ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেন, মহামারির প্রত্যেকটি পর্যায়ে হয়তো ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিবার ভুল শুধরে নেওয়া হয়েছে। তার মতে, এখনই পদক্ষেপ না নিলে নিয়ন্ত্রণ আর হাতে থাকবে না।

নতুন কড়াকড়ির আওতায় আগামী সপ্তাহান্ত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান-বাজার ছাড়া বাকি সব বিপণিবিতান বন্ধ রাখা হবে। সন্ধ্যা সাতটা থেকে কারফিউ চালু হবে। মানুষ নিজের বাসা থেকে ১০ কিলোমিটারের বেশি দূরে যেতে পারবে না। অর্থাৎ দেশের মধ্যে মানুষের যাতায়াত কার্যত বন্ধ রাখা হচ্ছে। সারা দেশে তিন সপ্তাহের জন্য স্কুল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।

ফ্রান্সে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণের হার প্রায় ৩৭৫ ছুঁয়েছে। দিনে ৪০,০০০-এর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে দেশের অনেক হাসপাতাল আর রোগী নিতে পারছে না। বিশেষ করে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটগুলো প্রায় ক্ষমতার সীমারেখায় পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ অবশ্য হাসপাতালের ক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ফ্রান্সে এক লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি দেশের মতো ফ্রান্সেও করোনার টিকাদান কর্মসূচি ধীরগতিতে এগোচ্ছে। যথেষ্ট সংখ্যায় টিকার সরবরাহে ঘাটতির পাশাপাশি দেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকেও এই সংকটের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছেন। ম্যাখোঁ টিকাদান কর্মসূচিতে গতি আনার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ষাটের বেশি বয়সের মানুষ এবং এর এক মাস পর পঞ্চাশের বেশি বয়সের মানুষ টিকা পাবে। কড়া লকডাউন ও দ্রুত টিকাদানের ফলে মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ধাপে ধাপে কড়াকড়ি শিথিল করা সম্ভব হবে বলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype