

বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার ২০২০ দেয়ার সিদ্ধান্তে। বঙ্গবন্ধুকে প্রথমবারের মতো মরণোত্তর পুরস্কারটি দেয়া হল।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি বাংলাদেশ ও তার জনগণের জন্য একটি বিরাট সম্মান।’ এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এই সম্মাননা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
বিশেষত, যখন বাংলাদেশ রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু যার ভিত গড়েছিলেন।
পুরস্কারটি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার চির-গভীর সম্পর্কের প্রতিও একটি সম্মাননা। এটি এমন এক সময় দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যখন উভয় দেশ যৌথভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ-জয়ন্তী, দু’দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম-শত বার্ষিকী উদযাপন করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম-শত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ যখন তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো তুলে ধরছে, ঠিক সেই মুহূর্তে এই পুরস্কার এদেশের মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিতে এবং একটি ক্ষুধা, দারিদ্র ও শোষণমুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে তার আজীবনের সংগ্রামের স্বীকৃতি দিচ্ছে।’
এতে আরো বলা হয়, এ উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণ দুই মহান নেতা বাপুজি ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানায়। যাঁদের মূল্যবোধ ও আদর্শ আজও একটি শান্তিপূর্ণ, শোষণ, অন্যায়-অবিচার ও বঞ্চনা মুক্ত বিশ্ব গড়তে আজও প্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে।