বুধবার-১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়ি বানানো হলো মুম্বাইয়ে !

মুম্বাইয়ের এই সেটে বসানো হয়েছে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ‘বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’ আদলের ঐতিহাসিক বাড়ি।

বিনোদন ডেস্ক : ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলছে নানা তোড়জোড় ও আয়োজন। যাতে জড়িয়ে আছে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নির্মিতব্য বায়োপিক ‘বঙ্গবন্ধু’ও।

২৬ মার্চের আগেই মুম্বাইয়ে চলা শুটিং শেষ করতে নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল চেষ্টা করছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

চলচ্চিত্রটির শুটিং শুরুর কথা ছিল বেশ আগেই। কিন্তু বাদ সেধেছিল করোনা। পরিস্থিতি একটু ভালো হতেই মুম্বাই ফিল্ম সিটিতে পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল।

ক্যামেরা মনিটরে ব্যস্ত শ্যাম বেনেগালকে শুটিং ফ্লোরে পাওয়া গেলো আগের মতোই সক্রিয়।

৮৬ বছর বয়সী ক্যামেরা মনিটরে ব্যস্ত শ্যাম বেনেগালকে শুটিং ফ্লোরে পাওয়া গেলো আগের মতোই সক্রিয়। বিশাল সেটের প্রতিটি খুঁটিনাটি তার নজরে। মুম্বাইয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রথম দিকের ঘটনা এবং ঘরোয়া বিষয়গুলো ক্যামেরায় ধরে রাখতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সে অনুযায়ী সাজানো হয়েছে সেট।

মুম্বাইয়ের এই সেটে বসানো হয়েছে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ‘বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’ আদলের ঐতিহাসিক বাড়ি। ভেতরের একটি দৃশ্যে দেখা যাবে ১৯৭০-এর গোড়ার কথা। খাওয়ার টেবিলে শেখ মুজিবুর রহমান। তার স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভাত বেড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু খাচ্ছেন না, তার মন খারাপ। উনার মনে পড়ছে ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের কথা। তাই তিনি বেশ উদাস।

মনিটরে চোখ রেখে বসেছিলেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। চেঁচিয়ে বললেন, ‘কাট’। মুম্বাইয় ফিল্মসিটির সেটে এভাবেই উঠে আসছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের টুকরো ছবি।

বেনেগালের লক্ষ্য, ২৬ মার্চের মধ্যে মুম্বাইয়ের অংশের শুটিং শেষ করে ফেলা। এর পরের কাজটি হবে বাংলাদেশে।

নির্মাতা বলেন, ‘যুদ্ধের দৃশ্য আর জনসমাবেশের শুটিং হবে বাংলাদেশে। সেখানকার কাজও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং।’

শেখ মুজিবুর রহমান যে বিশাল ও ঐতিহাসিক জনসভাগুলো করেছেন, সেটা অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্যভাবে চলচ্চিত্রটিতে তুলে ধরা হবে। বিষয়টি যে খুব একটা সহজ নয়, এটা মানছেন অনেকেই। তবে বেনেগাল এর আগে গান্ধী, সুভাষচন্দ্র, নেহরুকে নিয়ে সিনেমা করেছেন। তাই তার কাছেই প্রত্যাশা করেছে দুই দেশ।

চলচ্চিত্রটিতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করছেন আরিফিন শুভ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটবেলার চরিত্রে আছেন নুসরাত ফারিয়া। এছাড়া তাজউদ্দীন আহমেদ চরিত্রে রিয়াজ আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ভূমিকায় অভিনয় করবেন নুসরাত ইমরোজ তিশা।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে, খায়রুল আলম সবুজ (লুৎফর রহমান), দিলারা জামান (সাহেরা খাতুন), সায়েম সামাদ (সৈয়দ নজরুল ইসলাম), শহীদুল আলম সাচ্চু (এ কে ফজলুল হক), প্রার্থনা দীঘি (ছোট রেনু), রাইসুল ইসলাম আসাদ (আবদুল হামিদ খান ভাসানী), গাজী রাকায়েত (আবদুল হামিদ), তৌকীর আহমেদ (সোহরাওয়ার্দী), সিয়াম আহমেদ (শওকত মিয়া) ও মিশা সওদাগর (জেনারেল আইয়ুব খান)।

ছবিটি ২০২১ সালেই মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা দুই রাষ্ট্রের। বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত এ চলচ্চিত্রটি হতে যাচ্ছে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ক্যানভাসের কাজ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype