সোমবার-২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ করা : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে পা রেখেছি, আমরা এখানেই থামব না, বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে যেতে হবে। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ করা।’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ১৭ মার্চ (বুধবার) টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে আয়োজিত শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অনুশা।

এবারের শিশু দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙিন’। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইয়েদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রী ‘আমার বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

শিশুদের জীবন আরও উন্নত করার জন্য সরকার সব কিছু করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা শিশুদের জীবন আরও রঙিন, সুন্দর, সফল এবং ফলপ্রসূ করতে চাই, এটি আমাদের লক্ষ্য।’

সরকারপ্রধান বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং সব নীতিমালা প্রণয়ন করছে।

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবেন তারা নীতি অনুসরণ করবে এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবেন, আমরা সেটাই চাই।’

প্রধানমন্ত্রী শিশুদের জন্য তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সংক্ষেপে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকার অপরাধীদের আরও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন সংশোধন করেছে।

দেশের শিশুদের কল্যাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে শিক্ষার্থীদের জন্য অবৈতনিক করে দিয়েছিলেন এবং মাধ্যমিক শিক্ষাকে মেয়েদের জন্য অবৈতনিক করেছেন। শিশুদের অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে শিশু আইন কার্যকর করেছেন।

তিনি বলেন, তার সরকার ২০১১ সালে জাতীয় শিশু নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য সরকারও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং শিশুরা যাতে শিক্ষা, খেলাধুলা, শারীরিক ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনের সুযোগ পেতে পারে সে জন্যও বিশেষ নজর দিয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype