বুধবার-১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

সুস্থ্য থাকতে চাইলে খান ফল – সবজি

ইতিহাস ৭১ বিনোদন ডেস্ক : যদি সুস্থ্য ও নিরুগি থাকতে চান তাহলে নিয়মিত ফল আর সবজি খান। যেন আমরা খাওয়ার জন্যই বেঁচে আছি অথচ বিষয়টা হওয়ার কথা একেবারেই উল্টো। মানে বেঁচে থাকার জন্য, সুস্থ থাকার জন্যই আমাদের খাবার খেতে হবে। আর এজন্য সবচেয়ে বেশি খেতে হবে ফল আর প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি।

জেনে নেওয়া যাক কোন রঙের ফল খেলে আমরা কোন উপকারিতা পেয়ে থাকি –

× লাল ফল যেমন- তরমুজ, স্ট্রবেরি, চেরি, রেসবেরি, আপেল ও লাল আঙুর। প্রচুর পুষ্টি উপাদানে ভরপুর ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলগুলো।

এসব লাল ফলমূল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রেখে সহজেই এড়াতে পারেন প্রোস্টেট ক্যান্সার, জরায়ু ও ফুসফুস ক্যান্সার। এছাড়া লাল রঙের ফলমূল টিউমার বড় হতে দেয় না, হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে, শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা দূর করে।

× সবুজ রঙের ফল যেমন- পেয়ারা, সবুজ আঙুর, আপেল, , লেবু, বরই, আমড়া, আমলকি, জলপাই ও কাঁচা আম। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এসব ফলে রয়েছে ফাইবার, লিউটেইন, জিজানথিন, ক্যালসিয়াম, ফলেট, ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন।

নিয়মিত এসব সবুজ ফল খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায়, রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে, হজম ও অন্ত্রের ক্রিয়া সচল ও স্বাভাবিক থাকে। সবুজ শাক-সবজি শরীরকে বিষমুক্ত রাখে, ওজন কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক ও চুলকে সুন্দর রাখে।

× হলুদ ও কমলা ফল যেমন- কমলা, মালটা, হলুদ আপেল, কলা, লেবু, জাম্বুরা, পাকা আম, পিচ, ফুট, কাঁঠাল, আনারস ও পেঁপে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে এবং হাড় সবল রাখতে এসব ফল উপকারী। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ায় এসব হলুদ ও কমলা রঙের খাবার রাতকানা রোগের ঝুঁকি কমায়।

×নীলচে বা বেগুনী রঙের ফল যেমন- ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, জাম, কালো আঙুর, কালো জলপাই, শুকনো বরই, বেগুনী ডুমুর ও আলুবোখারা। এসব ফল থেকে আমরা ভিটামিন সি ও ফাইবার পাই।

এসব ফল প্রদাহ কমায়, শরীরকে ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শুষে নিতে সাহায্য করে, রেটিনাকে সুস্থ রাখে, শরীরে ক্যান্সার সেলের কার্যক্ষমতাকে কমিয়ে আনে ও টিউমার বড় হতে দেয় না।

দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ৪০০ গ্রাম ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। সঙ্গে কমপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করুন। তবে ডায়াবেটিস থাকলে ফলের ধরণ ও পরিমাণ পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ঠিক করুন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype