সোমবার-১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব ও পেশাজীবি সাংবাদিকদের নিয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর প্রশিক্ষণ

মানিকছড়ি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত প্রেস কাউন্সিল আইন, আচরণবিধি এবং তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বই বিতরণ অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব ও পেশাজীবি সাংবাদিকরা অংশগ্রহন করেন।
৩ নভেম্বর সকাল ১০ টায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত প্রেস কাউন্সিল আইন, আচরণবিধি এবং তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বই বিতরণ অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর সচিব মোঃ শাহ আলম এর সঞ্চালনায় অনুষ্টিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আবু সাঈদ মজুমদার। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আবু সাঈদ। দৈনিক অরণ্যবার্তা সম্পাদক ও বাংলাদেশ টেলিভিশন জেলা প্রতিনিধি চৌধুরী আতাউর রহমান রানা,জেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মুহাম্মদ, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মোঃ নুরুল আজম,
উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বই বিতরণ অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব ও পেশাজীবি ৪০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহন করেন। খাগড়াছড়ি জেলা প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ৯ উপজেলার প্রেস ক্লাব থেকে পেশাজীবি সাংবাদিকরা এতে অংশগ্রহণ করেন। সভার শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়। এর পর জাতীয় চার নেতার উদ্দেশ্য এক মিনিট নিরবতা পালন করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। পরে প্রধান অতিথি বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে বরণ করে নেন জেলা প্রেস ক্লাব নেতৃব্ন্দ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে সাংবাদিকতার পথিকৃত অবিস্মরণীয় বিশ্ব নেতা ও বাংলার অহংকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী তুলে বলেন, এ দেশে সাংবাদিকতায় প্রাণ ফিরে দিতে প্রথমে স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজ করেছেনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি জীবনে মানুষ তথা মাতৃভূমির জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন তা বিশ্বে সত্যি বিরল। তিনি ( বঙ্গবন্ধু) সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে তথ্য অধিকার নিঃশ্চিত করতে কাজ করেছিলেন। যা আজও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ সংবাদপত্র বা সাংবাদিকতার মান রক্ষায় বর্তমান সরকার খুবই আন্তরিক। বিশেষ করে সংবাদপত্রের মান রক্ষায় দেশে অপসাংবাদিকতা তথা হলুদ সাংবাদিকতা বন্ধে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল তৃণমূলে সাংবাদিক দের ডাটাবেইজ তৈরি,প্রশিক্ষণ প্রদান, সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণসহ নানা বিষয়ে কাজ চলছে।
সাংবাদিকদের যোগ্যতা ও মানরক্ষায় পত্রিকা এবং টিভি মালিক পক্ষকে অবশ্যই বেতনভুক্ত সাংবাদিক নিয়োগ দিতে হবে। পত্রিকা ও টিভি মালিকরা এগিয়ে এলে সরকার আন্তরিকভাবে হলুদ সাংবাদিকতা বন্ধে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল বঙ্গবন্ধুর প্রিয় প্রতিষ্ঠান সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার মান রক্ষায় আমরা কাজ করছি।
সকলে মিলে অপসাংবাদিকতা পরিহারে দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হোন। সরকার তথা প্রেস কাউন্সিল আপনাদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। জাতির পিতার প্রিয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী প্রসঙ্গে বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ আরোও বলেন, জাতির পিতার হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাটির সন্মান রক্ষায় নানা পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
অপসাংবাদিকতা পরিহারে পেশাজীবি সাংবাদিকরা বলেন, দেশে হলুদ সাংবাদিকতার কারণে আজ পদে পদে প্রকৃত সংবাদকর্মীরা অপমান, অপদস্ত হচ্ছে। সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক করে সৎ, যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে মালিক পক্ষকে বাধ্য করার আইনগত বিধিবিধান করার জোরদাবী জানান।
পরে প্রধান অতিথি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বই বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া সাংবাদিকদের মাঝে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখা বঙ্গবন্ধুর বেশ কিছু বই তুলে দেন। পরে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যর মধ্য দিয়ে কর্মশালার সমাপ্তি ঘটে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype