জুবাইর চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাসের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার পরিবারের সাথে স্বাক্ষাত করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। আজ বিকেল সদরঘাটস্থ সুদীপ্তর বাসায় যান প্রশাসক। এসময় তিনি সুদীপ্ত’র পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে মামলার প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়ে বিচার কার্যক্রমকে বেগবান করে খুনিদের ফাঁসি দিতে পারলেই সুদীপ্তের আত্মা শান্তি পাবে। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস রাখার জন্য তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সুদীপ্ত হত্যা একটি নৃশংস ঘটনা। যারা দিনের আলোতে সুদীপ্তের মতো একজন মেধাবী ছাত্রনেতাকে প্রকাশ্যে হত্যা করতে পারে তারা কোনভাবেই ক্ষমা পাওয়ার উপযুক্ত নয়। তাদেরকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এছাড়া এ হত্যাকান্ডের পিছনে যারা রয়েছে তাদের মুখোশও উম্মোচিত করা হবে। তবে প্রতিটি মামলার ন্যায় বিচার পেতে হলে পুংখানুপুংখভাবে তদন্ত করতে হয়। বর্তমানে সে কাজটিই পিবিআই অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে করছে। আপনারা জানেন ইতিপূর্বে পিবিআই অনেকগুলো স্পর্শকাতর মামলার সমাধান করেছে। পিবিআই’র উপর আমাদের সে বিশ্বাস আছে। তদন্ত শেষ হলে আমরা নিশ্চয় সুবিচার পাবো। উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। সে সময় এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত সাত-আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল হক সুমন, শওকত হোসাইন, মো. সালাউদ্দিন, ফরহান আহমেদ, মাইনুল হক লিমন, খলিলুর রহমান নাহিদ, এনামুল হক মিলন, সাজ্জাদ হোসাইন, জাহেদ আহমেদ চৌধুরী, মাসুদুর রহমান মাসুদ, সাইফুল্লাহ আনছারী, নিলু নাগ, খোরশেদ আলম, অনির্বাণ দাশ বাবু, সিটি কলেজের সাবেক ভিপি রাজীব হাসান রাজন, ইসলামিয়া কলেজের ভিপি ফয়সাল সাব্বির, জিএস সৈয়দ ইবনে বিন জামান ডায়মন্ড প্রমূখ। এছাড়া স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে জাকের আহমদ সওদাগর, জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।