শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

মানিকগঞ্জে প্রতিবন্ধী এক শিশুকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ

 আল মামুন ঘিওর, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের ঘিওরে বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এক শিশুকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মোঃ জনি নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে । উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের ফুলহারা গ্রামের প্রতিবন্ধী রাব্বি (১৪) ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় আজ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫ টার দিকে অভিযুক্ত মোঃ জনি (২৫) কে আটক করে ঘিওর থানা পুলিশ। নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী শিশুটি ফুলহারা গ্রামের আখের রস ব্যবসায়ী আব্দুল রউফ এর ছেলে এবং অভিযুক্ত নির্যাতনকারী জনি একই এলাকার জহির প্রধানের ছেলে। এদিকে স্থানীয় একটি মহল ঘটনা ধামাচাপা দিতে আপোষ মিমাংসার নামে পাঁয়তারা চালাচ্ছেন বলে জানান ভূক্তভূগীর পরিবার।

পরে নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী শিশুটির বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শনিবার সকালে ভুক্তভোগী শিশুর পিতা আব্দুল রউফ বলেন, বাড়ির পাশে খেলা করছিল রাব্বি। খেলার সময় গত বুধবার তার হাতে থাকা আখের একটি টুকরো ছিটকে একজনের গায়ে পড়ে। তখন হঠাৎ প্রতিবেশী জনি মিয়া (২৫) প্রতিবন্ধী শিশুটিকে কিল ঘুসি ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। স্থানীয়রা তাকে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গত তিনদিন সমাজের মাতবর ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানানোর পরও আমি বিচার পাইনি। আমার বোবা ছেলেটা ব্যাথায় কাঁদতেছে, মুখে বলতে পারেনা। দেখেন আপনারা ওর সারা শরীরের কত মারধোরের দাগ। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জনির মা সাবজান বেগম বলেন বাড়ির নিচের রাস্তায় প্রতিবন্ধী রাব্বি আমাকে আখের টুকরো দিয়ে বারি দেয়। আর তা দেখে আমার ছেলে জনি প্রতিবন্ধী ছেলেটিকে সামান্য ধাক্কা দেয়। তাকে কোন মারধোর করা হয়নি । তার ছেলের নামে মিথ্যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে দাবি করে তিনি।

ঘিওর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডা: মো: আশিক এলাহী বলেন শিশুটির গায়ে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে । ভর্তির সময় প্রচন্ড ব্যাথা ছিল। শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে । তার শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা উন্নত। ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আমিনুর রহমান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবন্ধী শিশুকে মারধর করা যুবককে ভোর ৫ টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় আনা হয়। পরে শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ ওই এলাকার সমাজের মাতব্বরদের উপস্থিতিতে আপোষ মিমাংসা করে করে দেয়া হয় । ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটায় সে ব্যাপারে লিখিত মুচলেকা রাখা হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype