শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

হিন্দি ছবি মুক্তিতে শিল্পী সমিতির আপত্তি নেই, তবে একটা শর্ত রয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশে ‘পাঠান’ মুক্তি নিয়ে হিন্দি ছবির আমদানি নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, সাফটা চুক্তির আওতায় পাঠান মুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই উদ্যোগে আগামী ২৭ জানুয়ারি ছবিটি মুক্তি পেতে পারত। তবে ২৭ জানুয়ারি মুক্তি না পেলেও কিছুদিন পরে ছবিটি মুক্তির সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে।

হল মালিকরা বলছেন, দেশের ছবি চাহিদা পূরণ করতে না পারায় তারা বলিউড ছবি চান। প্রদর্শক সমিতির সঙ্গে একমত পোষণ করেন পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াতও!
এদিকে, চলচ্চিত্র সমিতিও চায় দেশে হিন্দি ছবি মুক্তি পাক। তবে একটা শর্ত রয়েছে শিল্পী সমিতির। তারা এই ছবি থেকে আয়ের ১০ ভাগ চান। তবে দেশে হিন্দি ছবি মুক্তি দেওয়া নিয়ে ভিন্ন কথা বললেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দি ছবি মুক্তি দিতে চাইলে ভারতে আমার ছবি, আমাদের সংস্কৃতির ছবি মুক্তি দিতে হবে, না হলে আমি এ দেশে কোনোভাবেই হিন্দি ছবি মুক্তি দেওয়ার পক্ষে না। আমি প্রথম থেকেই হিন্দি ছবি মুক্তি দেওয়ার পক্ষে ছিলাম না, এখনো নেই।’

এর আগে, শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে নিপুণ বলেছেন, ‘তিনি ও শিল্পী সমিতি হিন্দি সিনেমা আমদানির পক্ষে। শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে এমন একটি সিদ্ধান্ত প্রাথমিকভাবে নেওয়া হয়েছে।’ এই অভিনেত্রী আরও জানান, হিন্দি ছবি মুক্তিতে শিল্পী সমিতির আপত্তি নেই, তবে একটা শর্ত রয়েছে। তারা এই ছবি থেকে আয়ের ১০ ভাগ চায়। নিপুণ আক্তার বলেন, ‘বলিউডের ছবি আসুক। বাংলাদেশে হলিউডের ছবি চলছে। হলিউডের সঙ্গে একযোগে এ দেশে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ইংরেজি ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাংলা ছবিগুলো চলছে। তাহলে মুম্বাইয়ের ছবির সঙ্গে কেন প্রতিযোগিতা করতে পারব না?’

তবে জায়েদ খান তা মানতে নারাজ। তিনি বললেন, ‘নিপুণ তো একজন অবৈধ সাধারণ সম্পাদক হয়ে আছেন। তার সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত। আমি আমার শিল্পীদের ওই ১০ পারসেন্ট নিয়ে কেন দুস্থ বানাব? আমরা শিল্পী, আমরা কাজ করব। আমরা কেন পারসেন্টেজ নেব? আমরা কি টাকা লগ্নি করেছি? হল মালিকরা যদি সিনেমা আনে সেটা তাদের বিষয়। তাদের কাছ থেকে কেন টাকা নিতে হবে?’

জায়েদ মনে করেন, হিন্দি ছবি আমদানির ফলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি নেপালের মতো হবে। এই অভিনেতা বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ভালো ভালো সিনেমা হচ্ছে। হল বাঁচাতে হলে আমাদের ভালো কন্টেন্ট নির্মাণ করতে হবে। তাহলে আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি বাঁচবে। হিন্দি ছবি মুক্তি দিলে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি ধ্বংস হয়ে যাবে।’

‘পাঠান’-এর মতো বাজেটের সিনেমার সঙ্গে বাংলাদেশের সিনেমা লড়াই করতে পারবে না। ফলে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের সিনেমা, সুন্দর গল্পের ছবিগুলো মুখ থুবড়ে পড়বে- এমনটাই মনে করছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘আমি দেখছি অনেকেই বলছেন হল বাঁচাতে হিন্দি ছবি আনতে। হিন্দি ছবি আনলে হল কিভাবে বাঁচবে? এতে করে আমাদের সিনেমার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেটাও ধ্বংস হয়ে যাবে। অনেকেই হিন্দি ছবির সঙ্গে বাংলা ছবির তুলনা করছেন? পাঠানের মতো বাজেটের সিনেমার সঙ্গে বাংলাদেশের সিনেমা কিভাবে লড়াই করবে?’

হিন্দি সিনেমা যদি একান্তই মুক্তি দিতে হয় তাহলে বাংলাদেশি সিনেমাও ভারতে মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। জায়েদ খান বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমা যদি মুক্তি একান্ত দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় তাহলে আমার সিনেমা, আমাদের সংস্কৃতির সিনেমা ভারতে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype