
আল মামুন মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ফুটপাত গুলোতে পুরোনো শীতের কাপড়ের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের দর কষাকষিতে মুখরিত এই বাজার গুলো। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতবস্ত্রের ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় দাম একটু বেশি বলে দাবি করছেন ক্রেতারা। প্রতিবছর শীতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষরা ফুটপাত থেকে গরম কাপড় সংগ্রহ করে থাকেন। দামে কম ও মানে ভালো থাকায় ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। কাক্ষিত পণ্য খুঁজে পেতে ফুটপাতের বাজারগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। হঠাৎ করে ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা জেঁকে বসেছে।
তাই তীব্র শীত মোকাবিলায় গরম কাপড় কেনার ধুম পড়েছে। ঘিওরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ দৃশ্যই চোখে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ( ৫ জানুয়ারি ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঘিওর হাট, চরবাইলজুরী পঞ্চরাস্তা মোড়, সিংজুরী বাজার ও তেরশ্রী বিজয় মেলাসহ বিভিন্ন বাজারের ফুটপাতে হকাররা শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। হাঁকডাক করে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছেন তারা। বাজারগুলোতে বাচ্চাদের বিভিন্ন সাইজের গেঞ্জি, বয়স্কদের সোয়েটার, কোট, ব্লেজার, মাফলারসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ টাকা, ৫০ টাকা, ১শ’ টাকা, সর্বোচ্চ ২শ’ টাকা পর্যন্ত করে শীতের কাপড় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
মূল মার্কেটগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতেও সমানতালে চলছে শীতবস্ত্র বিক্রি। সস্তা দামে এই শীতবস্ত্র কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের দেখা মিলছে সবচেয়ে বেশি। প্রতিবছর শীতের আগমনকে ঘিরে মওসুমী হকারদের আনাগোনা বেড়ে যায়। শীতের মাসে বাড়তি আয়-রোজগারের আশায় এসব মওসুমি হকাররা ফুটপাতের পাশাপাশি ফেরি করে উপজেলার অলিগলিতে চষে বেড়াচ্ছেন। ক্রেতা মোঃ সেলিম হোসেন জানান, আসলে আমাদের দেশে যেসব শীতবস্ত্র পাওয়া যায় এতে ঠান্ডা পরিপূর্ণভাবে দূর হয় না। তাই এই ফুটপাতে ভালো কিছুর অনুসন্ধান করছি। কাক্সিক্ষত পোশাক পেলেই কিনব, তবে হকারেরা দাম বড্ড বেশি চাচ্ছে। গত বছর ১৫০ টাকা দিয়ে একটি কিনেছিলাম খুবই ভালো ছিল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক বছর প্রত্যাশিত শীত না পড়ায় তেমন ভালো বেচাকেনা হয়নি। অনেকে শীতের কাপড় কিনে মজুদ করলেও তা বিক্রি করতে পারেননি। এ বছরও শীতের শুরুতে শীতের দেখা মেলেনি, পসরা সাজিয়ে বসে থেকেও ক্রেতা পাওয়া যায়নি। তবে গত দুই দিনে শীত বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতার সংখ্যা বেড়ে গেছে। সব বয়সের মানুষের শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতে। দামও কিছুটা নাগালের মধ্যে থাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করছে লোকজন।
ফুটপাতগুলো এখন আগের তুলনায় অনেক পরিপাটি। নির্ধারিত সময়ে পসরা নিয়ে বসছেন হকাররা। শীত যত বাড়বে ফুটপাতের বাজার তত বেশি গরম হবে বলে মনে করছেন খুদে বিক্রেতারা।