রবিবার-১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৩ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

উৎপাদনে ৪টি প্রতিষ্ঠান ১৫টির ভিত্তিপ্রস্তর মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর পেল নতুন প্রাণ

অনলাইন ডেস্ক : সরকার দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালীকরন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিল্পের বিকাশে দেশব্যাপী একশত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় শিল্পাঞ্চল হলো মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে চারটি প্রতিষ্ঠান আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদনে গিয়েছে। আরো ১৫টি প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যদিয়ে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর পেল নতুন প্রাণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদনে যাওয়া ৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামো উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন এর সভাপতিত্বে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন ইনভেস্টমেন্ট এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রæপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফোয়ান সোবহান, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, অর্থনৈতিক অঞ্চলের দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, একটি দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে শিল্পায়নের বিকল্প নেই। আমি আশা করি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে করে দেশের অর্থনীতির ভিত আরো মজবুত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, দেশের এসব শিল্পাঞ্চলের জন্য পরিকল্পিতভাবে দক্ষ জনবল ও যুগোপযোগী শ্রমিক তৈরি করা জরুরি, যাতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার ও বিশ্বমানের পণ্য তৈরি সম্ভব হয় ।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি তার বক্তৃতায় মিরসরাইয়ে শিল্পনগর গড়ে ওঠার কারনে পুরো এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে গেছে বলে উল্লেখ করেন। এসময় তিনি কারখানায় স্থানীয় মানুষদের যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে চাকরি দেয়ার অনুরোধ জানান।
প্রায় ৩০ হাজার একরের এ ইকনোমিক জোন এখন কর্মচঞ্চল। এরই মধ্যে দেশি বিদেশি বিনিয়োকারীরা এসব শিল্পাঞ্চলে ২২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসব শিল্পাঞ্চলে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান ও ৪০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য উৎপাদন হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype