নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক ভাবে সবুজে ভরা নগরী। এই সবুজকে ধারণ করতে বৃক্ষের অক্সিজেন ভান্ডার আমাদের ক্ষতিকারক কার্বনডাই অক্সাইড কেড়ে নিয়ে নি:শ্বাস প্রশ্বাসে শান্তি যোগায়। বৃক্ষ প্লাবন এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় রক্ষার একটি সবুজ সংকেত। আজ সকালে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং কসমোপলিটন এর উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মানবজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য অক্সিজেন অন্যতম উপাদান। অক্সিজেন ছাড়া প্রাণীজগতের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না । এজন্য বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষায় বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। কেননা বৃ¶রাজির নিঃসরনকৃত অক্সিজেন আমরা গ্রহণ করে বেঁচে আছি। আবার আমাদের নিঃসরিত কার্বন ডাই অক্সাইড বৃক্ষ গ্রহণ করে। অক্সিজেন বেঁচে থাকার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই করোনাকালে তা প্রতিটি মানুষ উপলব্ধি করতে পারছে। সেসময় দেশে ৬০ সিসি’র প্রতিটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম বাড়তে বাড়তে তিন হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠেছে। অবস্থা এমন হয়েছে টাকা দিয়েও কৃত্রিম অক্সিজেন পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র অক্সিজেন সাপোর্ট না পেয়ে অনেক করোনা রোগী মারা গেছে। তাই নিজের বেঁচে থাকার স্বার্থে গাছ লাগানো মানে দেশ বাঁচানো। দেশের মানুষকে তথা নিজেকে বাঁচানো। অন্যদিকে আমরা লক্ষ্য করছি ইদানিংকালে আবহাওয়ার বিরুপ ব্যবহার। এর মূলেই রয়েছে বৃক্ষ নিধন ও বৃক্ষ উজাড়। যেহেতু বৃক্ষের নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে জ্বালানী কিংবা আসবাবপত্র তৈরীতে এর প্রয়োজন শতভাগ। সেতেু গাছ লাগানোর বিপ্লব ঘটিয়ে এই বায়ুমন্ডলের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের স্বপ্লতা যাতে সৃষ্টি না হয়, কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ যাতে বেড়ে না যায়; জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে যাতে উষ্ণতা বৃদ্ধি না পায়; সেই বিষয়টি অনুধাবন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষে সারাদেশে এক কোটি গাছের চারা রোপনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা দলীয় ও ব্যক্তিগতভাবে গাছ লাগানোর কর্মসূচী পালন করে আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য সবুজ সতেজ মাতৃভূমি রেখে যাওয়ার কাজ করছি। পরে প্রশাসক এক্সেস রোডের মিড আইডিয়ানে ফজল,বনজ ও ওষধি গাছ লাগিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ভোধন করেন। এসময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং কসমোপলিটন এর সেকেন্ড ভাইস গভর্ণর লায়ন শেখ সামসুদ্দিন আহমদ সিদ্দিকী, লায়ন কাজী মনিরুল ইসলাম, লায়ন চন্দন দাশ, লায়ন আলহাজ্ব হাকিম আলী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।