
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জননেতা আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন আগামী ব্যালট যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের দাঁত ভাঙা জবাব দিতে হবে । যেকোন মূল্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির অনৈক্য রোধ করতে হবে। তিনি বলেন, অত্যন্ত বেদনার সাথে লক্ষ্য করছি, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি কৌশলে অপপ্রচার চালাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে ব্যবহার করে। এই বিভক্তি প্রতিরোধে তথা ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য, পারিবারিক ঝগড়াকে সামনে এনে যাঁরা রাজনৈতিক ফাঁয়দা হাসিলের চেষ্টা করছে তাদের বিষয়েও আমার কাছে তথ্য আছে। তিনি দুঃখ করে বলেন, এমন অনেক কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধা আছেন যাঁরা আবেদনই করেন নি। তাই বলে কি তিনি বা তারা অ-মুক্তিযোদ্ধা? মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট মানেই আপনিই শুধু মুক্তিযোদ্ধা এমনটি ভাববার অবকাশ নেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, রাউজান থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং যুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনী প্রধান, রাউজানে সমবায় আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক গণপাঠাগার সড়ক ও তোরণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন, এবং মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে মুক্তিযোদ্ধা আকম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন।
১১ অক্টোবর, মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-রাউজান থানা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ শিকদার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হারুন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন সাহাবুদ্দীন আরিফ বিএ, ইউপি সদস্য মোঃ আবু তৈয়ব, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, আওয়ামী লীগ নেতা অংশুমান বড়ুয়া, জামাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, আরিফুল ইসলাম, সমাজসেবী মোঃ এনামুল হক, মোঃ মুজিবুল হক, মোঃ ইউসুফ, মোঃ জামাল উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন, শওকত আজিম, মহিউদ্দিন পারভেজ, শওকত নোমান, প্রকৌশলী মঈনুল হক চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, শওকত নাজিম, শওকত জামান, শওকত হাসান, নোমান তালুকি, শওকত জালাল, শওকত হাফেজ, রাসেল রহমান, ইফতেখার হোসেন, মেজবা উদ্দিন, মোঃ দুলাল প্রমুখ। পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান মরহুমের পুত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি মরহুম জিল্লুর রহমানের সাবেক পলিটিক্যাল এপিএস লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিসংখ্যানবিদ শওকত আলআমিন। পরে মন্ত্রী কবর জেয়ারত শেষে মরহুমের বাড়িতে যান এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।