
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : ঘিওর সদর ইউনিয়নের কুস্তা গ্রামের শিশু কিশোরদের খেলাধুলা ও বিনোদনের একটিমাত্র কেন্দ্র কুস্তা খেলার মাঠ। এই মাঠটি এখন ধংসের মুখে। এক দিকে কালীগঙ্গা নদীর করাল গ্রাসে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে মাঠটি, অপর দিকে কয়েকজন ব্যবসায়ী অবৈধভাবে মাঠের জায়গা দখল করে মাটির ব্যবসা করছেন।
মাটির রমরমা ব্যবসায় হাইড্রোলিক ট্রলির বেপরোয়া চলাচলে মাঠটিতে শিশু কিশোররা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দফতরে অবহিত করার পরও বন্ধ হচ্ছে না বালুর ব্যাবসায়ীদের তৎপরতা। মাঠটিতে যারা খেলাধুলা করে তারা অনেকবার বাধা দিলেও অসাধু ব্যবসায়িরা মাঠের জায়গা ছেড়ে দিবে বলে আর দেয়নি। এখন তাদের মাঠের জায়গা ছেড়ে দিতে বললে তারা উল্টো হুমকি ধামকি দেয়। কয়েকজন মুরুব্বী জানান, কুস্তা গ্রামের এই মাঠটি না থাকলে অনেক যুবক এবং উঠতি বয়সি ছেলে ধংস হয়ে যাবে।এই মাঠটি রক্ষা করতে না পারলে যুব সমাজ এবং উঠতি বয়সি ছেলে বিভিন্ন নেশায় আসক্ত হয়ে যাবে। কুস্তার এই মাঠ রক্ষায় আমরা প্রশাসনের সাহায্য কামনা করছি। স্কুল শিক্ষার্থী মো: শিহাব বলে, এখানে আমরা নিয়মিত ফুটবল খেলতাম। এখন মাঠের দুপাশেই বালুর স্তুপ।
মাঠের মাঝ দিয়ে এই বালু বহন করে ট্রলি। ফলে কয়েক মাস যাবত খেলাধুলা করতে পারছি না। মাঠে বালু রাখা ব্যবসায়ী মো: কুদরত বলেন, এটি কোন সরকারী মাঠ না। ব্যক্তি মালাকানা জমি। নদী ভেঙে চর জেগে উঠায় এখানে স্থানীয়রা খেলাধুলা করে থাকে। মাঠের বাইরে বালু রাখা হয়েছে। এতে খেলাধুলার কোন ক্ষতিও হচ্ছে না। ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পে মাটি ফেলা হচ্ছে। আর কয়েকদিন বাদেই প্রকল্প শেষে বালু সরিয়ে নেয়া হবে।
ঘিওর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারমান অহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, খেলাধুলায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়া দু:খজনক। এব্যাপারে আমি আজই সরজমিন পরিদর্শন করে বালু অপসারন করে খেলার পরিবেশ সৃষ্টি করার ব্যবস্থা করবো। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা ধলেশ্বরী নদীর বালু খেলার মাঠে রেখে খেলাধুলায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। মাঠ থেকে দ্রুত বালু অপসারনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গতকাল সকালে আমি অভিযান পরিচালনা করে বালু বহনকারী কয়েকটি ট্রলি জব্দ করেছি। এব্যপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।