মঙ্গলবার-১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৫ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

চালের ব্র্যান্ড নাম তারা যেটাই দিক, কিন্তু ধানের জাতের নাম দিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী

ইতিহাস৭১ ডেস্ক : চালের বস্তায় ধানের জাতের নাম বাধ্যতামূলক করতে একটি আইন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। পাশাপাশি, চালের কতটুকু অংশ ছাটাই করা যাবে তাও সেই আইনে নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।

আইনটির খসড়া মন্ত্রিসভার সম্মতির পর বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ে আছে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।

সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএসআরএফ-এর সাধারন সম্পাদক মাসউদুল হক।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিনিকেট বলে কিছু নেই। মিনিকেটের উৎপত্তি জানলে আর এই নাম দিতো না। এক সময় ভারত থেকে চিকন চালের বীজ এনে মিনি প্যাকেটে করে। এই হলো মিনি প্যাক। ভোক্তা অধিকার এই মিনিকেট নাম উচ্ছেদ করতে অভিযান চালাতে পারে।

আমরা আইন একটি মন্ত্রিসভায় দিয়েছি। এটার খসড়া অনুমোদন হয়েছে। এখন ভেটিংয়ে আছে। সেখানে বলা আছে ব্র্যান্ড নাম তারা যেটাই দিক, রজনীগন্ধ্যা দিতে পারে, গোলাপ ফুল, জরিনা সখিনা নাম যাই দিক, কিন্তু ধানের জাতের নাম দিতে হবে। ২৮. ২৯, বিরি এতো, এই নামটা দিতে হবে। নাম দিয়ে ব্র্যান্ডং যাই করুক।

গ্রুপ ব্যবসায়ীরা শুধু চাল না অনেক কিছুই প্যাকেটজাত করে। তারা যেটা করে খোলা বাজারের ফাইন রাইস যদি ৬৫ টাকা হয় তারা সেটা ৯০ টাকায় বিক্রি করে। আমরা আবার এটা আগ্রহ করে নিয়ে যাই। এখানে আমাদেরও চিন্তা করতে হবে প্যাকেট খাবো না। যাদের বেশি পয়সা তারা এটা চিন্তা করে না। যারা হীরার মালা গলায় দেয় তাদের কাছে ৮০ টাকা ৯০ টাকা কিছু না। সাধারণের দিকটা আমাদের দেখতে হবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যারা সুযোগ নেবে অসাধু ব্যবসায়ী তাদের যদি ৯০ টাকায়ও ডলার দেন তারা সুযোগ নেবেই। তাদের পেছনে শক্তিশালি মনিটরিং দরকার, যেটা আমরা করছি। কতখানি চাল কোন বর্ডার দিয়ে আসছে, প্রত্যেক বর্ডারে আমাদের লোক নিয়োগ দেয়া আছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের বাজারে কারসাজি রোধে মিলগেট ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দৈনিক দাম ঘোষণার জন্য ওয়েবসাইট খুলতে বলা হয়েছে।

এখানে আহ্বান জানাবো পাইকারি ব্যবসায়ী যারা আছে তারাও যেন ওয়েবসাইট খোলে। তারা মিলগেটের সাথে মিল রেখে জানাবে পাইকারি বাজার আজ কি আছে। তাহলে সামঞ্জস্য আনা যাবে। আমি মনে করি এটা অতি জরুরী। সমন্বয় করতে পারলে ভোক্তারা অনেক উপকৃত হবে।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype