সোমবার-৯ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৩ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

অর্থ পাচার বিষয়ে সরকার এবং দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

ইতিহাস ৭১ নিউজ ডেস্ক : হাইকোর্ট জানতে চেয়েছিলেন সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিরা যেসব অর্থ জমা রেখেছেন বা পাচার করেছেন সে বিষয়ে সরকার এবং দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে। সেই আলোকে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অর্থ জমা সংক্রান্ত তথ্য বিভিন্ন সময়ে তাদের কাছে চাওয়া হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ।

১০ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।

১১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দুদক এবং

রাষ্ট্রপক্ষের কাছে পদক্ষেপ জানতে চান। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এসব বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছিল দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ।

সর্বশেষ গত ১৭ জুন সুইজারল্যান্ডের সরকারের কাছে অর্থ জমা সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার (বিএফআইইউ) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

১৪ আগস্ট (রোববার) হাইকোর্টে আসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

প্রকাশিত সংবাদের রেফারেন্স টেনে ১১ আগস্ট আদালত জানতে চান কী পরিমাণ অর্থ সুইচ ব্যাংকে পাচার হয়েছে? এ বিষয়ে সরকার ও দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে?

তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ বা দুদক কোনো তথ্য দিতে পারেনি আদালতকে। তাই রোববারের মধ্যে এ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আদালতে এদিন দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

এম.জে.আর

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype