
ইতিহাস ৭১ স্পোর্টস ডেস্ক : করিম বেনজেমা ও রবের্ত লেভানদোভস্কি এ বছরের ব্যালন ডি’ অরের লড়াইয়ে প্রত্যাশিতভাবে আছেন। বর্ষসেরা ফুটবলারের লড়াইয়ে তাদের পাশাপাশি আছেন বিশ্ব ফুটবলের সেরা তরুণ প্রতিভাবানদের একজন আর্লিং হলান্ড ও পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও। তবে ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়নি পুরস্কারটি রেকর্ড সাতবার জেতা লিওনেল মেসির।
২০২২ সালের এ পুরস্কারের জন্য ছয় ধাপে ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ‘ফ্রান্স ফুটবল’ ম্যাগাজিন। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত পৌনে ১২টায় শুরু হয় তালিকা ঘোষণা।
গতবারের বিজয়ী মেসি ২০০৫ সালের পর এ প্রথম ৩০ জনের তালিকায় জায়গা পেলেন না। ইচ্ছার বিরুদ্ধে গত বছরের অগাস্টে বার্সেলোনা ছেড়ে
পিএসজিতে পাড়ি দিয়ে ২০২১-২২ মৌসুমে নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গত মৌসুমে ৩৪ ম্যাচে গোল করতে পারেন স্রেফ ১১টি।
সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসির পিএসজি সতীর্থ নেইমারও। তবে আছেন দলটির আক্রমণভাগের আরেক তারকা ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে।
রিয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া, মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ, ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র, ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার কেভিন ডে ব্রুইনে, লিভারপুল ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহও জায়গা পেয়েছেন এ তালিকায়।
আগামী ১৭ অক্টোবর প্যারিসে বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হবে এবারের ব্যালন ডি’ অর। ১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি’ অর পুরস্কার দেওয়া চালু হয়।
১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পুরস্কারটি শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হতো। এর পর থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর ২০০৭ সাল থেকে ইউরোপের সেরা নয়, পুরস্কারটি দেওয়া হতে থাকে বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।
ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার আর ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’ অর একীভূত হয়েছিল ২০১০ সালে, নাম হয়েছিল ফিফা ব্যালন ডি’অর।
ফিফার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে আবার একাই ব্যালন ডি’ অর দেওয়া শুরু করে ফ্রান্স ফুটবল। ২০২০ সালে কোভিডের কারণে পুরস্কারটি দেওয়া হয়নি। ব্যালন ডি’ অর জয়ী নির্ধারণ করা হয় সাংবাদিকদের ভোটে।
এম.জে.আর