
ইতিহাস ৭১ নিউজ ডেস্ক :
সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে । ৭ আগস্ট (রোববার) সরকারি তথ্য বিবরণীতে এসব কর্মসূচির কথা জানানো হয়।
তথ্য বিবরণীতে সরকার জানায়, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসহ সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
ভোর সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠিত হবে সশস্ত্রবাহিনীর অনার গার্ড ও মোনাজাত।
সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা ও অন্যান্য শহীদদের কবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুষ্পস্তবক ও ফুলের পাপড়ি অর্পণের পর ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হবে।
সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সশস্ত্রবাহিনীর অনার গার্ড ছাড়াও সমাধি কমপ্লেক্সে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হবে।
শোক দিবসে সারাদেশের মসজিদগুলোতে বাদ যোহর বিশেষ মোনাজাত করা হবে। মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। এছাড়া, শোক দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর পোস্টার প্রকাশ করেছে। সারাদেশে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করবে।
সচিবালয়ে সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করবে তথ্য অধিদপ্তর। বিভাগীয় পর্যায়েও আঞ্চলিক তথ্য অফিসগুলোও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে।
সব পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে।
জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালিত হবে। অনুষ্ঠানগুলোতে সরকারি কর্মকর্তাদের আবশ্যিকভাবে অংশ নিতে হবে।
দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ শোক দিবসের নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে।
ধানমন্ডি, বনানী ও টুঙ্গিপাড়ার অনুষ্ঠান বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। এছাড়া, অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, এফএম ও কমিউনিটি রেডিও এসব অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে।
এম.জে.আর