মঙ্গলবার-১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৫ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রিত্বের নির্বাচন শুরু হওয়ার পরে প্রত্যেক ধাপেই এগিয়ে ছিলেন ঋষি সুনাক

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার কথা স্বীকার করে নিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। তবে, শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

জনপ্রিয়তায় প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাসের থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন ঋষি।
বরিস জনসন পরবর্তী ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে কে বসবেন, তা নিয়ে ভোটাভুটি চলছে। শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে টিকে রয়েছেন ঋষি সুনাক এবং লিজ ট্রাস। আগামী দিনে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটই ঠিক করে দেবে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের মসনদে কে বসবেন।

অতিসম্প্রতি নিজেকে ‘আন্ডারডগ’ বলে দাবি করেছেন সুনাক। তারপর ফের প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার কথা বললেন তিনি। কেননা, যত দিন এগোচ্ছে, ততই জনসমর্থন হারাচ্ছেন ব্রিটেনের সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তার আর্থিক মতবাদ তথা সম্ভাব্য নীতিতে দেশবাসী আস্থা রাখতে পারছে না। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন লিজ ট্রাস।

তবে প্রধানমন্ত্রিত্বের নির্বাচন শুরু হওয়ার পরে প্রত্যেক ধাপেই এগিয়ে ছিলেন ঋষি সুনাক। সংসদ সদস্যদের ভোটাভুটির প্রত্যেক রাউন্ডেই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যায়ের রায় দেবেন দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা।

প্রচারে সুনাক বারবার বলেছেন, এখনই সাধারণ মানুষের উপর থেকে করের বোঝা কমিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। এমন সিদ্ধান্ত নিতে খারাপ লাগলেও সততার সঙ্গে কাজ করতে গেলে কর কমানো যাবে না। দেশবাসীর কাছে সুনাকের আবেদন, আপনাদের সকলের সমর্থন চাইছি। শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটি ভোটের জন্য লড়াই করব।

অন্যদিকে, জনমোহিনী নীতি নিয়ে লিজ ট্রাস জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে প্রথমেই কর কমানোর ব্যবস্থা করবেন তিনি। তার মতে, ব্রিটেনের কর পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তন করা প্রয়োজন। বর্তমান নীতি অত্যন্ত জটিল। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, টাইমস অব ইন্ডিয়া

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype