শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

চর্বিযুক্ত মাংস খাবেন না উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে

কোরবানি ঈদ ও এর পরবর্তী দিনগুলোতে শরীরের কথা চিন্তা করে অতিরিক্ত খাবার পরিহার করার বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে সবার।

নিজেদের ঘরেও তৈরি করা হয় বাহারি আয়োজন। তবে যারা অতিরিক্ত ওজনে ভুগছেন এমনকি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনির রোগীদের গরু ও খাসির মাংস অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।

যদিও ঈদের এ সময় কি আর মনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব! তবে কিছু নিয়ম মেনে যদি গরু বা খাসির মাংস রান্না করা যায়; তাহলে শারীরিক ক্ষতি কিছুটা হলেও কমাতে পারবেন। ঈদ ও এর পরবর্তী কয়েকটি দিন ক্যালোরি মেপে খাওয়া আবশ্যক। তাহলেই সুস্থ থাকবে শরীর। জেনে নিন করণীয়-

চর্বিযুক্ত মাংস একেববারেই খাবেন না। শরীরে হঠাৎ চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে, রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। চর্বিছাড়া মাংস খেতে হবে।

মাংসগুলো যতটা সম্ভব ছোট ছোট টুকরো করে কাটুন। তাহলে তেলজাতীয় পদার্থ ঝরে যাবে। আর অবশ্যই মাংস সব সময় অল্প তেলে রান্না করবেন। কারণ গরু বা খাসির মাংসের নিজস্ব যে তেল আছে তাতেই অনেকটা কাজ হয়ে যায়। সয়াবিনের বদলে সরিষার তেল ব্যবহার করুন।

গরুর মাংস সবজির সঙ্গে রান্না করুন। আলু, পেঁপে, পটল, ফুলকপি দিয়ে রান্না করতে পারেন গরুর মাংস। অনেকে আবার গরুর মাংস রান্নায় চুইঝাল আর আস্ত রসুন পছন্দ করেন। সেটিও আপনার গরুর মাংসে যোগ করবে আলাদা মাত্রা।

রান্নার আগে মাংসে বেশি করে লবণ মাখিয়ে রেখে দিন। লবণ মাংসের শক্ত মাসল ফাইবার সহজেই ভেঙে ফেলে। তাই মাংস নরম হয়ে যায় ও সহজে সেদ্ধ হয়ে যায়।

মাংসে টেস্টিং সল্ট, সয়া সস এগুলো না ব্যবহার করাই ভালো। মাংস বারবার গরম করতে নেই। এতে পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে ক্ষতিকর উপাদান ও জটিল প্রোটিন তৈরি হয়।

মাংসের সঙ্গে প্রচুর সালাদ খান। কোল্ড ড্রিংকস ও ডেজার্টের পরিবর্তে মাঠা, জিরা পানি বা টকদই খান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype