শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

২২১৬ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ ১০ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ সব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৮৭৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৩৪১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যোগদান করেন।

 

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করায় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। একইসঙ্গে অর্থ সচিব গভর্নর হওয়ায় তাকেও অভিনন্দন জানানো হয়।

এম এ মান্নান বলেন, ‘এখন আর নতুন প্রকল্প নেয়া হবে না। তবে পুরনো প্রকল্প গুলোকে সংস্কার এবং প্রয়োজনে রাস্তার বাঁক ভেঙে সোজা করতে হবে।’

তিনি বলেন, মসলার অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর বাজার মূল্যও অন্য ফসলের তুলনায় বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে মসলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার। দেশে প্রায় ৫০ ধরনের মসলার ব্যবহার হয়, কিন্তু মাত্র ৭ ধরনের মসলা জাতীয় ফসল দেশে উৎপাদিত হয়। ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার সিংহভাগই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমাতে স্থায়ীভাবে মসলার উৎপাদন বাড়ানোর আবশ্যকতা রয়েছে। সেই লক্ষে মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্র এখন পর্যন্ত ২২টি মসলা জাতীয় ফসলের ৪৭টি জাত উদ্ভাবন করেছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মৃত্তিকা ও পানি ব্যবস্থাপনা, পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা, পোস্ট হারভেস্ট প্রযুক্তিসহ ৬৬টি উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে। এ সব জাত ও প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ সম্ভব হলে দেশে মসলার উৎপাদন ও কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে আমদানি নির্ভরতা কমানো যাবে। দেশের ১১০টি উপজেলা ও ২৫টি হর্টিকালচার সেন্টারে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।

মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি জুলাই ২০২২ থেকে জুন ২০২৭ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্প। কুষ্টিয়া (ত্রিমোহনী)-মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ আঞ্চলিক মহসড়কের ৮১ কিলোমিটারের রেলবাজার রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প।

চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়ীয়া-পাথরঘাটা মহাসড়কের পিরোজপুর অংশের জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত বেইলি সেতুর স্থলে পিসি গার্ডার সেতু ও আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প। জামালপুর শহরের গেইটপাড় এলাকায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সদরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প।

এছাড়া ঢাকা সেনানিবাসে এমইএস’র ভৌত অবকাঠামো সুবিধাদি সম্প্রসারণ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কার্যক্রম জরুরি সহায়তা প্রকল্প। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়।

সূত্র: বাসস।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype