কৌশলগতভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার ও গভীর করতে চায় বাংলাদেশ। সেজন্য জোটটির সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে ফিলিপাইনের সমর্থন চায় ঢাকা।
১০ মে (মঙ্গলবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত অ্যালান এল ডেনিগা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সাক্ষাতে আসেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী ফিলিপাইনের সমর্থন চান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিমন্ত্রীর সমর্থন চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত দেশটির পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
শাহরিয়ার আলম করোনা মহামারির কারণে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি এই অঞ্চল এবং এর বাইরের কিছু দেশে তাদের প্রভাবের দিকে ইঙ্গিত করেন এবং বৃহত্তর ঐক্য, সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা এবং সমন্বয়ের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। বিশেষ করে তিনি প্রতিবেশী এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোর সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী ফিলিপাইনের মানবসম্পদ প্রশিক্ষণ, নার্সিং এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সেবা খাত, পর্যটন ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণের মতো বিষয়গুলোতে দেশটির দক্ষতার বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিময়ের ওপর জোর দেন। তাছাড়া তিনি ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের কারণে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে তাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে ফিলিপাইন ও আসিয়ানের সক্রিয় সমর্থন চান।
নতুন রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশকে সামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের জনগণের স্বার্থে উভয়ের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা পারস্পরিক আদান-প্রদানের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের অর্জিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও সক্ষমতারও ভূয়সী প্রশংসা করেন।