সোমবার-২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রাঙ্গুনিয়ায় কোরবানি পশুর একমাত্র মহিষের হাট জমে উঠেছে

মুহাম্মদ তৈয়্যবুল ইসলাম, রাঙ্গুনিয়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি।
পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ভ্রম্মোহত্তর শান্তিনিকেতনে জমে উঠেছে কুরবানী পশুর মহিষেরহাট বাজার। উপজেলার একমাত্র এই হাটের যেদিকে চোখ যায় মহিষ আর মহিষ। এবার বাজারে থাকলেও দেশী গরু ও ছাগলের চাহিদা সহ বাজারে রয়েছে মহিষের চাহিদা। পশুর দাম মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি হওয়ায় বাজারে ক্রেতা থাকলেও পশু বিক্রির হার এখনও বাড়েনি। স্বাভাবিক বাজার দরের তুলানায় এবার বাজারে প্রতিটি মহিষ ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ দেশী গরু, ছাগল ও মহিষ থাকলেও বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকছেন। এতে কুরবানীর জন্য পশু ক্রয় করতে আসা লোকজন অধিক হারে খাজনা দিয়ে গরু ক্রয় করতে হচ্ছে। উপজেলার নিশ্চিন্তাপুর এলাকা থেকে হাটে আসা গরু খামারী রহিম জানান, গত বছর কুরবানীর পর তিনি ২০টি মহিষ গড়ে ২৫-২৬ হাজার টাকা দরে কিনে রাখেন। এক বছরে সেগুলো লালন-পালনে ব্যয় হয়েছে গড়ে আরও ২০-৩০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে যোগ হবে পরিবহনসহ আনুষঙ্গিক খরচ। এতে প্রতিটি মহিষ ৭০-৯০ হাজার টাকায় বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। হাটে আসা ব্যবসায়ী মোহরম আলী এনেছেন নিজের খামারের ৯টি মহিষ। মোহরম আলী বলেন, এবার ভারতীয় গরু অল্প সংখ্যক থাকায় হাটের অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে। দশীয় গরুর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ার পরও বেচাকেনা জমে উঠেছে। দাম বেশি হওয়ায় বিক্রেতারা সন্তুষ্ট হলেও ক্রেতারা পড়ছে বিপাকে। অনেকের সামথ্য না থাকায় পশু না কিনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এদিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোথাও ইনজেকশন বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধিতিতে গরু মোটাতাজাকরণ না করায় স্থানীয় মহিষের চাহিদা বেড়েছে। সাবেক রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের পশুর হাটে মহিষ কিনতে আসা আতাউর রহমান ও কবির জানান, গত বারের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেক বেশি। গরু আমদানি কম না হলেও মহিষের মালিকরা বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন। শান্তিনিকেতন পশুর হাটে একাধিক বেপারি ও খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশী খামারের বেশকিছু মহিষও বাজারে এসেছে। হাট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে বিভিন্ন স্হান থেকে আসা বেশিরভাগ মহিষ মোটাতাজা আর স্থানীয় গরু তুলনামূলক ছোট আকারের। ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় গ্রামের মাঠে-ঘাটে পালন করা পশুগুলোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি জানান,শান্তিনিকেতন বাজার হচ্ছে উপজেলার একমাত্র মহিষের হাট,এখানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদে বেচা কেনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে। তাই এখানে নিরাপদে পশু কেনা বিক্রি হচ্ছে , পশু ব্যবসায়ীরা অন্য উপজেলা থেকে এসে এখানে নিরাপদে গরু বিক্রি করছে।
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype